আদালত কক্ষে লোহার খাঁচার স্থাপন কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:২৯
ঢাকা: অধস্তন আদালত কক্ষে স্থাপন করা লোহার খাঁচা বসানো কেন সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩১, ৩২ ও ৩৫ এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে লোহার খাঁচার পরিবর্তে কেন কাঠগড়া পুনঃস্থাপন করার নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি সারা দেশে কোন কোন আদালতে এই ধরনের লোহার খাঁচা বিদ্যমান আছে তা জানিয়ে ৬০ দিনের মধ্যে আইন সচিবকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
রোববার (৪ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
এর আগে, ২৩ জানুয়ারি অধস্তন আদালত কক্ষে স্থাপন করা লোহার খাঁচার অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করা হয়।
রিটকারী সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী হলেন- জি এম মুজাহিদুর রহমান, মোহাম্মদ নোয়াব আলী, সাদ্দাম হোসেন, আব্দুল্লাহ সাদিক, মিজানুল হক, মুজাহিদুল ইসলাম, মেসবাহ উদ্দিন, মো. জোবায়দুল ইসলাম, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী, সাজ্জাদ সারোয়ার।
এ বিষয়ে আইনজীবী শিশির মনির বলেছিলেন, বাংলাদেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইবুনালে এই ধরনের লোহার খাঁচা অতীতে ছিল না। বর্তমানে প্রায় শতাধিক আদালতে এই ধরনের খাঁচা বিদ্যমান। এর সিংহভাগ ঢাকায় অবস্থিত। এই ধরনের খাঁচা ব্যবস্থাপনা সংবিধানের ৩১, ৩২ ও ৩৫(৫) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ৩৫(৫) এ বলা আছে কারও সঙ্গে নিষ্ঠুর-অমানবিক আচরণ করা যাবে না। অথচ এই খাঁচা ব্যবস্থার মাধ্যমে নাগরিকদের সঙ্গে নিষ্ঠুর অমানবিক ও বর্বর আচরণ করা হচ্ছে।
এসবের প্রতিকার চেয়ে গত বছরের ১৬ অক্টোবর এই ১০ আইনজীবীর পক্ষে নোটিশ পাঠান আইনজীবী শিশির মনির। নোটিশের জবাব না পেয়ে এই রিট দায়ের করা হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ