বিসিসিসিআই-ইআরএফ অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৭ সাংবাদিক
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৫০
ঢাকা: বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিসিআই)- ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড পেলেন দেশের ১৭ জন সাংবাদিক। বিজয়ীদের মধ্যে প্রথম পুরস্কার ১ লাখ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৭৫ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেস্ট ও সনদ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাওয়ার্ প্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু)। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম এবং বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সিলর অ্যান্ড ডেপুটি চিফ অব মিশন ইয়ান হুয়ালং।
বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিআই) সভাপতি গাজী গোলাম মূর্তজা পাপ্পার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিসিসিআই এর সেক্রেটারি আল মামুন মৃধা, ইআরএফ সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধা। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ইআরএফ এর সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
বিসিসিআই-ইআরএফ অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত সাংবাদিকেরা হলেন দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার হামিদ-উজ-জামান, দৈনিক আমাদের সময়ের জিয়াদুল ইসলাম, বৈশাখী টেলিভিশনের তানজিলা নিঝুম সাথী, দ্য বিজনেস স্টান্ডার্ড এর জাহিদুল ইসলাম ও আব্বাস উদ্দিন নয়ন, ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের জসিম উদ্দিন হারুন, দৌলত আক্তার মালা ও এফএইচএম হুমায়ন কবীর, একাত্তর টিভির সুশান্ত সিনহা, দ্য বিজনেস পোস্টের ইবরাহিম হোসেন অভি, একুশে টিভির তৌহিদুর রহমান, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের ইকবাল আহসান, এনটিভির হাসিবুল আলম শাওন, নিউজ টুয়েন্টি ফোরের বাবু কামরুজ্জামান, ডেইলি স্টারের আহসান হাবিব, সময়ের আলোর এস এম আলমগীর এবং দ্য বিজনেস পোস্টের হাসান আরিফ।
প্রধান অতিথি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) বলেন, ‘রমজান উপলক্ষ্যে প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। এরইমধ্যে আরও কিছু পণ্যেও আমদানি শুল্ক কমানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দেওয়া আছে। আশা করছি, রমজানে ভোক্তাদের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন ১৮ লাখ মেট্রিক টন চাল মজুদ আছে। আরও ১৩ লাখ টন খাদ্য শস্য আমদানি করা হয়েছে। রোজায় বিভিন্ন পণ্যেও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে। আমরা শুধু উৎপাদন, আমদানি ও সবরাহ পর্যায়ে কিছু কাজ করছি। সেগুলোর জন্য সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চীনের সঙ্গে আমাদের ব্যাপক বাণিজ্য ঘাটতি আছে। আমরা চাই চীনা বিনিয়োগকারীরা এদেশে এসে বিনিয়োগ করুক এবং এখান থেকেই পণ্য রফতানি করুক।’
আহসানুল ইসলাম (টিটু) আরও বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়েই বলেছি, সাংবাদিকরা আমার চোখ এবং কান। তাদের লেখনির মাধ্যমে উঠে আসা চ্যালেঞ্জগুলো ধীরে ধীরে মোকাবিলা করা হবে।’
বিসিসিআই সভাপতি গাজী গোলাম মূর্তজা পাপ্পা বলেন, ‘আমরা ইআরএফ এর সঙ্গে নিয়মিত অ্যাওয়ার্ড দিয়ে যাচ্ছি। এটি দেশের মানুষের কাছে বিশেষ করে সাংবাদিকেদের কাছে প্রশংসনীয় উদ্যোগ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও চায়নার মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও বহুমাত্রিক ও উন্নত হবে। এ ধরনের উদ্যোগ দুদেশের সম্পর্ক বৃদ্ধিতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’
সারাবাংলা/জেজে/একে