Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পুলিশের সামনেই হত্যার অভিযোগ, ২ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:৪০

মানিকগঞ্জ: সিংগাইরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশের সামনে কুদ্দুস মিয়া (৫৫) নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছেন স্বজনেরা। কুদ্দুস মিয়ার বাড়ি উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের আটিপাড়া গ্রামে।

এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার কারণে সিংগাইর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সালাম ও এএসআই আজিজুলকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে যুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলাসহ দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ। এসময় তিনি নিহত ও আহতদের স্বজনের সঙ্গে কথা বলে আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দেন।

নিহতের স্বজন ও আহতদের দাবি, তারা সংসদ সদস্য দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর সমর্থক। সংসদ নির্বাচনে টুলুর পক্ষে কাজ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে সংসদ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী মমতাজের লোকজন তাদের উপর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে।

নিহতের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে সিরাজপুর বাজারে যাওয়ার সময় কবরস্থানের সামনে আবুল কালাম, মিলন, জুবায়ের, আব্দুল আলিম, জব্বার, সালাউদ্দিন, হাকিম আলি, রাসেল, মোখলেছ, বাবু, হারুন সহ ১০-১২ জন রামদা, চাপাতিসহ ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পেছন দিক থেকে হামলা চালিয়ে প্রতিপক্ষ শাহিনুর ও ফারুককে গুরুতর আহত করে। এসময় রামদার কোপে শাহিনুরের পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর স্থানীয়রা আহত দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

বিষয়টি জানাতে ৯৯৯ এ ফোন করলে শান্তিপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আব্দুস সালাম মিয়া ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এর কিছুক্ষণ পরে পুলিশের উপস্থিতিতেই আবু কালম ও তার লোকজন আবারও ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আব্দুল কুদ্দুস ও তার বোন জাবেদার উপর হামলা চালায়। কিন্তু পুলিশ তাদের বাধা দেয়নি, এমনকি গ্রেফতারও করেনি। গুরুতর আহত এই ২জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। এরপর রাত সোয়া ৯টায় আব্দুল কুদ্দুস চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে মারা যান। প্রথম হামলার ঘটনায় শনিবার রাতেই ১টি মামলা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

পরে আব্দুল কুদ্দুসকে খুন করার অভিযোগে আবু কালাম ও তার লোকজনদের বিরুদ্ধে রোববার রাতে থানায় হত্যা মামলা করেন তার স্ত্রী শিউলি।

হত্যা মামলার আসামিরা হচ্ছে, কালাম (৪৫) ও তার ভাই আ. গফুর (৪১), মিলন (৩২), জুবায়ের (২২), সালাহউদ্দিন (৩৫), আ. জব্বার (৪৩), রাসেল (২৩), আব্দুল আলীম (৩৬), মোখলেছ (৩৮), হাকিম আলী (৫৮), ফিরোজ (৩৮), আবুল হোসেন (৪৮), আওয়াল (২৩), তাইজুদ্দিন (৪৪) ও মঞ্জুরুল হক মঞ্জুসহ (৩৮) অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন।

নিহতের বোন জাবেদা অভিযোগ করে বলেন, ‘পুলিশের সামনেই আমার ভাইকে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশ ব্যবস্থা নিলে আমার ভাই মারা যেত না।’

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ২টি মামলা হয়েছে। ১টি মারামারি ও অপরটি হত্যা মামলা। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা চালিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে, এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

সারাবাংলা/এমও

পুলিশ হত্যার অভিযোগ

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর