Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পালিয়ে এসেছে ২২৪ বিজিপি সদস্য, সীমান্তের ওপারে যুদ্ধ চলছেই

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:২৩

কক্সবাজার: উখিয়ার পালংখালী সীমান্তে নতুন ভাবে আরও ১১১ ও নাইখ্যংছড়ির সীমান্ত দিয়ে ২ জন মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের সশস্ত্র সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৪ জনে।

এর আগে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সঙ্গে আরাকান আর্মির যুদ্ধের জেরে গত তিন দিনে ১১৩ জন বিজিপি সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। সোমবার রাতভর সীমান্তের ওপারে তুমুল গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল সোমবার রাত এবং আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ১২৯ জন বিজিপি সদস্য সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশের বিজিবির কাছে আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের মধ্যে ১৫ জনের বেশি সংঘর্ষে আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৫ জন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সোমবার রাতে অপর ৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বিজিবি’র কর্মকর্তারা জানান, গত তিন দিন ধরে বান্দরবানের নাইখ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এবং কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এর জেরে রোববার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিজিপির ২২৪ জন সদস্য অস্ত্রসহ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

বিজ্ঞাপন

বিজিবি জানায়, তাদের (বিজিপি) নিরস্ত্র করে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে। বিজিপি’র আহত সদস্যের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আশিকুর রহমান জানান, মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির মোট ৫ জন সদস্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এছাড়া ৪ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত টেকনাফের উলুবনিয়া সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলি ও বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

পালংখালীর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, সীমান্তে তার ইউনিয়নের বাসিন্দারা আতংকে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। ওপারের ছোঁড়া গুলি এসে পড়েছে এপারের বিভিন্ন বাড়ি-ঘরের চালে, উঠানে। এতে করে উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দারা আতংকের মধ্যে রয়েছেন।

সারাবাংলা/এমও

বিজিপি সদস্য মিয়ানমার যুদ্ধ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর