বিদ্রোহীদের সঙ্গে পারছে না জান্তা, হারাচ্ছে একের পর এক ঘাঁটি
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:৩৮
মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের সঙ্গে জান্তা বাহিনীর প্রচণ্ড লড়াই চলছে। যুদ্ধে একের পর এক পরাজয়ের খবর আসছে জান্তা বাহিনীর। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে, সীমান্ত এলাকায় পরাজিত হয়ে বাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছেন। এরই মধ্যে গত তিন দিনে জান্তা বাহিনী আরও একাধিক ঘাঁটি এবং ৬২ জন সেনা হারিয়েছে। খবর দ্য ইরাবতি।
সাগাইং, ম্যাগওয়ে ও মান্দালয় অঞ্চলসহ কাচিন এবং কারেন রাজ্য থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) এবং জাতিগত সশস্ত্র সংগঠনের (ইএও) বিরুদ্ধে এই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার।
পিডিএফ এবং ইএও’র কাছ থেকে এসব তথ্য জানতে পেরেছে দ্য ইরাবতি। হতাহতের বিষয়টি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি সংবাদমাধ্যমটি।
সাগাইং শহর বর্তমানে পিডিএফ যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যা পুনরুদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে জান্তা বাহিনী। পিডিএফ জানায়, মিয়ানমারের শাসক বাহিনী সাগাইং অঞ্চলের হোমলিনের শোয়ে পাই আই শহর পুনরুদ্ধার করার মিশন ত্যাগ করেছে। সফল প্রতিরোধ গড়ে তোলায় গত ১০ দিন ধরে পিডিএফ’র সঙ্গে লড়াই করে না পেরে অবশেষে পিছু হটে জান্তা বাহিনী।
গত ২৬ জানুয়ারি থেকে জান্তা বাহিনীর প্রায় ৪০০ জন সদস্য এবং মিত্র শন্তি শান্নি ন্যাশনালিটিস আর্মি (এসএনএ) শহরটি পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করেছিল। গত বছরের ২২ নভেম্বর থেকে শহরটি নিজেদের দখলে রেখেছে পিডিএফ বাহিনী।
হোমলিনের পিডিএফ আরও জানায়, তারা জান্তা বাহিনীর ফেলে যাওয়া স্থান থেকে ১৫ জন সেনা সদস্যের সমাহিত করা মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে। এ সময় আরও ৪০ জনের মতো আহত হয়েছেন।
ইয়েসাগিও’র পিডিএফ জানায়, গত শনিবার তারা এবং অন্য একটি পিডিএফ ব্যাটালিয়ন যৌথভাবে জান্তার লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন-২৫৮ এর ১০০ সৈন্যের একটি সামরিক ইউনিটের উপর ২০টিরও বেশি ড্রোন বোমা ফেলেছে। এরপর ম্যাগওয়ে অঞ্চলের ইয়েসাগিও টাউনশিপের কিয়াউক হেল বি গ্রামে অবস্থান নেওয়ার পরে তারা বাড়ি লুটপাট চালায়। পরে জান্তা বাহিনীর সদস্যরা মাগওয়ে অঞ্চলের ইয়েসাগিও শহরের কিয়াউক হ্লে বি গ্রামে অবস্থান নেয় এবং স্থানীয়দের বাড়িঘর লুট করে।
এই ড্রোন হামলায় জান্তা বাহিনীর দুইজন সেনা নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইয়েসাগিও’র পিডিএফ বাহনী। তারা আরও জানায়, জান্তাপন্থি গ্রাম জি তাওতে একটি ড্রোন হামলা চালিয়েছে পিডিএফ। সেখানে জান্তাপন্থি একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর বাড়ি ছিল। তবে এ হামলায় ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিস্তারিত জানা যায়নি।
বিদ্রোহীদের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের কারণে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১১৪ জন সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগে ১১৫ জন পালিয়ে আসেন। এতে করে এখন পর্যন্ত বিজিপি’র সদস্য ২২৯ জন সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন।
সারাবাংলা/এনএস