‘খাল ও খাস জমি দখল করে অনেকে হাজার কোটি টাকার মালিক’
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৩২
ঢাকা: অবৈধভাবে খাল ও খাস জমি দখল করে অনেকে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সাতারকুল-ভাটারার একশ ফুট এলাকায় সূতিভোলা খালের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন এবং খালের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় সরকারি খাল, খাস জমি এগুলো কতিপয় দখলদার অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। আমরা জানতে পেরেছি যারা খাল, খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে তারা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। যারা সরকারি জমি, জনগণের জমি দখল করেছে তাদের ধিক্কার জানাই।
সূতিভোলা খালের পর পাশের সমুদ্র খালের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন ডিএনসিসির মেয়র। এ সময় মেয়রের উপস্থিতিতে খালের পাড়ে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ইটের তৈরি ওয়াল ভেঙে দিয়ে প্রায় আধা কি.মি. জায়গা দখলমুক্ত করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান।
পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য ওয়াকিল উদ্দিন। তিনি বলেন, আমি সবাইকে অনুরোধ করছি আপনারা নিজ দায়িত্বে খালের এবং সরকারি জমির অবৈধ দখল ছেড়ে দিন। খালের পাড়ে ওয়াকওয়ে, সাইকেল লেন এবং সবুজায়ন হলে এই এলাকাটি অনেক সুন্দর হবে। জনগণ এর সুফল ভোগ করবে। তাই জনগণের জন্য এই এলাকাটি নান্দনিকভাবে সাজাতে খালের উন্নয়ন করা হবে।
এ সময় স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, জলাধারগুলো ঢাকা শহরের হার্টের (হৃৎপিন্ড) মতো। এই জলাধারের পানির প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করা হার্টের ব্লক হওয়ার মতো। হার্টে ব্লক হলে যেমন হার্ট অ্যাটাক হয়ে যায়, তেমনে জলাধার ব্লক হলে শহর প্রাণ হারাবে, জলাবদ্ধতা হয়ে শহর ডুবে যাবে। তাই হাউজিং কোম্পানিগুলোকে এই জলাধার ভরাট করতে দেওয়া যাবে না। সিটি করপোরেশনসহ সব সংস্থাকে সমন্বিতভাবে এই বিষয়ে কাজ করতে হবে।
সারাবাংলা/আরএফ/এনইউ