‘ভ্যাট-ট্যাক্স কমলে সোনা স্মার্ট শিল্পে পরিণত হবে’
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৩৯
ঢাকা: সোনাই একমাত্র বিপদের বন্ধু। অন্য কোনো সম্পদ নগদে কাজে না লাগলেও সোনাকে নগদ অর্থে পরিবর্তন করা যায়। ভ্যাট-ট্যাক্স কমালে এই শিল্প আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে। সরকারের নীতি সহায়তা পেলে স্মার্ট বাংলাদেশের মতো ভবিষ্যতে স্বর্ণ শিল্পও স্মার্ট শিল্পে পরিণত হবে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) নবরাত্রি হলে তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত বাজুস ফেয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। এর আগে ফিতা কেটে তিন দিনের এই আয়োজন উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০৪১ সফল বাস্তবায়ন এবং দেশের জুয়েলারি শিল্পদের হাতে গড়া অলংকার দেশে- বিদেশে তুলে ধরতে ও পরিচিতি বাড়তে এ ফেয়ারের আয়োজন করা হয়েছে। এবারের মেলার প্রতিপাদ্য হলো ‘সোনায় বিনিয়োগ, ভবিষ্যতের সঞ্চয়।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক আহমেদ ইব্রাহিম সোবহান, বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের এমেরিটাস প্রফেসর ও চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী, ইউনেস্কো আর্টিস্ট ফর পিস ও বিশ্ববরেণ্য ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেল, বাজুসের অ্যাম্বাসেডর ও শিল্পী মমতাজ বেগম, কবি ও নিউজ ২৪ টিভির বার্তা সম্পাদক শাহনাজ মুন্নী, রূপসজ্জা বিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীনসহ বাজুসের নেতারা।
মূল বক্তব্যে বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় বলেন, ‘সোনার দাম কখনো কমবে না, সব সময় বাড়ে। সোনা এমন একটা ধাতু যেটা মানুষের মধ্যে বন্ধন সৃষ্টি করে। এর ইমোশনাল ভ্যালু অনেক। আপনার কাছে যত টাকার সম্পদই থাকুক না কেন- সোনাই একমাত্র বন্ধু, যদি রাতে দুইটার সময় বিপদে পড়েন, টাকার দরকার হয় হয়, তাহলে আপনি সোনা দিয়ে টাকা নিতে পারবেন। বিপদ থেকে উদ্ধার হতে পারেন। কিন্তু অন্য সম্পদ দিয়ে তা পারবেন না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, কীভাবে এই শিল্পটাকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলা যায়। আমাদের সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে তিন বছরে একটা প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে পেরেছি। এটা খুবই প্রসংশনীয়। এর আগে এভাবে কোনো প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে পারিনি। সরকারের সহযোগিতায় এবং আমাদের চেষ্টায় এই শিল্পকে রেকর্ড পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছি। যেখানে লেদার, গার্মেন্টস শিল্প ভালো করছে। সেখানে এই জুয়েলারি শিল্প অনেক পুরোনো শিল্প। এই শিল্পে কেন আমরা পিছিয়ে আছি? এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের এমেরিটাস প্রফেসর ও চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী বলেন, ‘স্বর্ণ শিল্পে আমাদের নিজস্ব ট্রাডিশনাল লুক আছে। যেটা ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা ডিজাইনের চাপে। অন্য দেশের ট্রাডিশনের সঙ্গে আমাদের দেশের ট্র্যাডিশন মিশে যাচ্ছে। সেখান থেকে আমরা যদি স্বর্ণ শিল্পের জন্য কোনো ইনস্টিটিউট তৈরি করতে পারি তাহলে ট্রাডিশনাল ডিজাইন রক্ষা করা যাবে। এই শিল্প যদি পুনরুজ্জীবিত হয়, তাহলে আমাদের দেশ থেকে সোনা রফতানি করাও সম্ভব হবে।’
এদিকে মেলা ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন স্টলে ক্রেতা দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন। ঘুরে ঘুরে দেখছেন বাহারি ডিজাইনের গয়না। একটি স্টলে দেখা গেছে বৃহদাকার একটি সোনার বার। আয়োজকরা জানান, মেলায় সোনায় কোনো ছাড় না থাকলেও ডায়মন্ডের যেকোনো গয়নায় ২৫ শতাংশ ছাড় রয়েছে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম