পাকিস্তানের নির্বাচন: ইমরান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:৪৮
পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে দেশটির কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সমর্থিত প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন। যা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি বলে মন্তব্য করেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। তবে অনুষ্ঠানিক ঘোষণার ধীর গতির কারণে ফলাফলে কারচুপির অশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ফল ঘোষণা শুরু করে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। খবর এনডিটিভি ও দ্য ডন।
নিষেধাজ্ঞার কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। কিন্তু দলটির শতাধিক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়। ফলাফলের ক্ষেত্রেও তারা বেশিরভাগ এলাকায় এগিয়ে রয়েছেন।
ভোটগ্রহণ বন্ধের ১৩ ঘণ্টার বেশি সময় অতিবাহিত হওয়ার পর শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ফল ঘোষণা শুরু করে ইসিপি। এ সময় মাত্র ৮টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে তিনটি আসনেই পিটিআই-সংযুক্ত প্রার্থীরা জয়লাভ করে।
এদিকে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য জানিয়েছে, দেশটির স্থানীয় সময় সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ১২টি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী পাঁচজন, পাকিস্তান মুসলিম লীগের (এন) চারজন এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পি) তিনজন প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা শেষ হয় বিকলে ৫টায়। ক্রমবর্ধমান জঙ্গি হামলা, অর্থনৈতিক সংকট এবং রাজনৈতিক মেরুকরণের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে পাকিস্তানে। তবে এই নির্বাচনে কোনো দল এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারে না বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক।
নির্বাচনে কারাবন্দি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থিত প্রার্থীদের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত জাতীয় নির্বাচনে তার দল পিটিআই জয়ী হয়েছিল। এছাড়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রীর পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) নওয়াজ শরিফকে এবার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত বেনজির ভুট্টোর ৩৫ বছর বয়সী ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিও দেশটির শীর্ষ পদের জন্য আক্রমণাত্মক প্রচার চালিয়েছেন।
৩৩৬ আসনের দেশটির জাতীয় পরিষদে সরকার গঠন করতে ১৬৯টি আসনের প্রয়োজন। এমন একটি সরকার গঠনে ছোট রাজনৈতিক দলগুলোও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে ভোটাররা সরাসরি ২৬৬ জন সদস্যকে নির্বাচিত করতে পারেন। আর বাকি ৭০টি আসন সংরক্ষিত। এর মধ্যে ৬০টি নারী ও ১০টি অমুসলিমদের জন্য। নির্বাচনে প্রতিটি দলের জয়ী সদস্যদের সংখ্যার অনুপাতে এই সংরক্ষিত আসনগুলো বরাদ্দ করা হয়।
সারাবাংলা/এনএস