ফের শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:১৯
চুয়াডাঙ্গা: পৌষ শুরু হওয়ার পর থেকেই তীব্র শীতে নাকাল হয়েছিল চুয়াডাঙ্গাবাসী। টানা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছিল এই জেলায়। মাঘের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর সেই শীত কিছুটা কমলেও শেষের দিকে এসে চুয়াডাঙ্গায় ফের শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। চার দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা হুট করে চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যাওয়ায় ফের শীতে কাঁপতে শুরু করেছেন জেলার বাসিন্দারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা থেকেই তাপমাত্রা দ্রুত কমতে থাকে চুয়াডাঙ্গায়। আজ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে তা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। অর্থাৎ জেলায় শুরু হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬৭ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতকরা ৯৭ শতাংশ।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যেরও দেখা মিলেছে চুয়াডাঙ্গায়। তবে তা উত্তাপ ছড়াচ্ছে না। বরং উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় খুব প্রয়োজন না পড়লে লোকজন ঘর থেকেও বের হচ্ছে না।
জানুয়ারি মাসের প্রায় পুরোটা সময়ই চুয়াডাঙ্গায় ছিল তীব্র শীত। ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে থাকে। এর মধ্যে গত কয়েকদিন তাপমাত্রা ১৩/১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যায়। চার দিনের ব্যবধানে আজ এই তাপমাত্রা কমেছে চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে আগামীকাল শনিবারও (১০ ফেব্রুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এ জেলাতেই থাকবে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান। তিনি আরও জানান, আগামী ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি ফের এই জেলায় বৃষ্টি হতে পারে।
তীব্র শীতের মধ্যেই অবশ্য ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে কৃষকদের। বোরো মৌসুম সমাগত হওয়ায় এখন তারা জমিতে ধান রোপণ করছেন।
সারাবাংলা/টিআর