Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

টুথপেস্ট-হ্যান্ডওয়াশে প্যারাবেন, ঝুঁকি বাড়ছে ক্যানসারের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:১০

ঢাকা: দেশে উৎপাদিত টুথপেস্ট ও হ্যান্ডওয়াশে বিপদজনক মাত্রায় প্যারাবেন পাওয়া গেছে, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। তবে দেশে পাওয়া বিদেশি পণ্যে প্যারাবেন পাওয়া যায়নি। পরিবেশক বিষয়ক প্রতিষ্ঠান এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (এসডো) গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর লালমাটিয়ায় এসডো’র প্রধান কার্যালয়ে এই গবেষণার ফলাফল তুলে ধরা হয়। গবেষণায় সহযোগিতা করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার ওনজিন ইনস্টিটিউট ফর অকুপেশনাল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল হেলথ।

গবেষণায় দেখা গেছে, টুথপেস্ট এবং হ্যান্ডওয়াশের সকল নমুনাতেই নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রার রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। নমুনাগুলোতে ফ্লোরাইড (শুধু টুথপেস্টে) এবং সোডিয়াম ডাইক্লোরাইডের উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে। প্রাপ্ত বয়স্কদের পারসোনাল কেয়ার প্রোডাক্টে ২২টি নমুনার মধ্যে ৫টি পণ্যে সর্বোচ্চ মাত্রায় প্যারাবেনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। বিশেষ করে, একটি টুথপেস্টে ১৮২৩ মাইক্রোগ্রাম/গ্রাম এবং দুটি হ্যান্ডওয়াশের নমুনায় ১৪০৩-১৮৩৪ মাইক্রোগ্রাম/গ্রাম প্যারাবেনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

এমনকি শিশুদের একটি টুথপেস্টেও ৬৫৯ মাইক্রোগ্রাম/গ্রাম মিথাইল-প্যারাবেন এবং ৫০ দশমিক ৫ মাইক্রোগ্রাম/গ্রাম বিউটাইল-প্যারাবেনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ গবেষণায় সাতটি দেশের নমুনাও বিশ্লেষণ করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশি পণ্যগুলোতেই সবচেয়ে বেশি মাত্রায় প্যারাবেন পাওয়া গেছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

প্যারাবেন হলো জেনোস্ট্রোজেন। মানবদেহে বিদ্যমান হরমোনের মতোই এর রাসায়নিক গঠন। প্যারাবেন ক্যান্সারের কারণও। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি জানায়, সাধারণত অধিক কার্যকর এবং সাশ্রয়ী হওয়ার কারণে পারসোনাল কেয়ার প্রোডাক্টে প্রিজারভেটিভ হিসেবে প্যারাবেন ব্যবহার করা হয়। তবে এই ধরনের রাসায়নিক পদার্থ আমাদের হরমোন নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরত্বপূর্ণ এন্ড্রোকাইন সিস্টেমের কার্যক্রমকে ব্যাহত করে। এ কারণেই বেশ কয়েকটি দেশ তাদের এ ধরনের পণ্যগুলোতে প্যারাবেনের ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে।

গবেষণা পরিচালনার জন্য ঢাকার বিভিন্ন স্থানীয় দোকান থেকে টুথপেস্ট এবং হ্যান্ডওয়াশের ৩০টি নমুনা সংগ্রহ করার পর ল্যাব পরীক্ষার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার ওনজিন ইনস্টিটিউট ফর অকুপেশনাল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল হেলথে (ডব্লিউআইওইএইচ) পাঠানো হয়। সেখানকার ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওই ফলাফল পাওয়া যায়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এসডো’র চেয়ারপার্সন ও সাবেক সচিব সৈয়দ মারগুব মোর্শেদ, সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মো. আবুল হাশেম, টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ও সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার অ্যান্ড প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসের ডিরেক্টর ড. হাসনাত এম আলমগীরসহ আরও অনেকে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এনএস

এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এসডো টপ নিউজ প্যারাবেন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর