Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মির্জা ফখরুল-আমীর খসরু জামিনে মুক্ত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:২২

ঢাকা: দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস কারাবন্দি থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রথমে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল এবং ৪ মিনিট পর স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে উপস্থিত হলের নেতা-কর্মীরা মুর্হুর মুর্হুর করতালি দিয়ে তাদের বরণ করে নেয়।

বিজ্ঞাপন

এ সময় নেতা-কর্মীদের হাত তুলে অভিবাদন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ সবসময় গণতন্ত্রের জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য, ভাতের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছে। এই সংগ্রামে তারা জয়ী হবে।’

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ওরা রাষ্ট্র শক্তিকে কব্জা করে ক্ষমতা দখল করেছে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখান করেছে। তারা নির্বাচনে নৈতিকভাবে জনগণের কাছে পরাজিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, গণতন্ত্রের আন্দোলন অটুট থাকবে। যতদিন দেশে গণতন্ত্র ফেরত না আসবে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার না আসবে, ততদিন এই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।’

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে এ সময় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তাইফুল ইসলাম টিপু, শামীমুর রহমান শামীম, নিপুণ রায় চৌধুরী, ফরহাদ হোসেন আজাদ, সাবেক সাংসদ আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম, ইসরাফিল খসরু চৌধুরী, শায়রুল কবির খানসহ অঙ্গসংগঠনের কয়েকশ’ নেতা-কর্মী।

এর পর মহাসচিবের গাড়ি ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেলে কর্ডন করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। কারাগারে মুক্তির সময়ে বিএনপি মহাসচিবকে আনতে তার সহধর্মিনী রাহাত আরা বেগম, বিএনপি মহাসচিবের একান্ত সহকারী ইউনুস আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, গত ২৯ অক্টোবর গোয়েন্দা পুলিশ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে এবং ২ নভেম্বর দলের স্থায়ী কমিটির সদ্স্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গুলশানের তাদের বাসা থেকে আটক করে। পরে ২৮ অক্টোবর বিএনপিরর মহাসমাবেশের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় গ্রেফতার দেখায়। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি এবং খসরুর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়। এর মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনাটি ছাড়া সব মামলায় তারা বিভিন্ন সময়ে জামিন পেয়ে যান।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনার মামলায় বিএনপি এই দুই শীর্ষ নেতার জামিন মঞ্জুর করেন। বৃহস্পতিবার সকালে দুই নেতার আইনজীবীরা বিভিন্ন মামলার জামিন আদেশ, প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহারের আদেশগুলো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়ার পর বিকেলে মুক্তি পান বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা।

জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘সরকার পতনের’ এক দফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। সেদিন দুপুরের আগে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরুর পর কাছেই কাকরাইল মোড়ে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা শান্তিনগর, নয়াপল্টন, বিজয়নগর, ফকিরাপুল, আরামবাগ এবং দৈনিক বাংলা মোড় এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।

সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দেওয়া হয়, ভাংচুর অগ্নিসংযোগ করা হয় আরও ডজনখানেক যানবাহন। হামলা করা হয় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে। দৈনিক বাংলা মোড়ে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

সারাবাংলা/এজেড/এনএস/পিটিএম

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর