৮ প্রতিষ্ঠান জবর দখলের অভিযোগ ড. ইউনূসের
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৩৮
ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত গ্রামীণ টেলিকম ভবনের ১৬টি প্রতিষ্ঠানের আটটি গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস। তিনি বলেন, ব্যবসার মুনাফার টাকায় এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকম ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ড. ইউনূস। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, গ্রামীণ কল্যাণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম মঈনুদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
গ্রামীণ টেলিকম ভবনে ইউনুসের ১৬টি কোম্পানি রয়েছে। যার প্রতিটির চেয়ারম্যান ড. ইউনূস। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংকের ‘নামধারী’ কয়েকজন কর্মকর্তা ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। ওই দিন থেকে তারা ভবনে তালা মেরে রেখেছেন। নিজের বাড়িতে অন্য কেউ যদি তালা মারে, তখন কেমন লাগার কথা আপনারাই বলেন। তাহলে দেশে আইন–আদালত আছে কিসের জন্য। তারা আদালতে যেতে চায় না।’
ড. ইউনুস বলেন, ‘পুলিশের কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইলেও কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। সরকারেরও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।’ সেজন্য এ বিষয়ে আদালতের শরণাপন্ন হবেন বলে জানান তিনি।
গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় টেলিকমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়া হয়েছে কি না? জানতে চাইলে ইউনূস বলেন, ‘এখানে গ্রামীণ ব্যাংকের কোনো টাকা নেই। ব্যাংকের কোনো দাবি-দাওয়াও নেই, এটা পরিষ্কার। আমরা আইন বুঝে কাজ করেছি। এখন জটিল পরিস্থিতিতে কাজ করতে হয়। আইন ভঙ্গ করলে বিপদের চেয়ে মহাবিপদ। সবকিছু আইন মেনে করা হয়েছে। তাদের যদি অন্যরকম উদ্দেশ্য থাকে সেটা তাদের ব্যাপার। গ্রামীণ ব্যাংকের এই প্রতিষ্ঠানে কোনো অধিকার নেই।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের কোনো সহযোগিতা পেলাম না। পুলিশই তো বড় রক্ষক, তাদের কাছে থেকে কোনো সহযোগিতা পাইনি। যাই হোক আলাপ-আলোচনার মধ্যে যাব। এখন তো জবরদখলে চলে গেল।’
এদিকে, মিরপুরে ড. ইউনূসের সংবাদ সম্মেলনের খবর শুনে সকালে ঝাড়ু মিছিল করে একদল মানুষ। সকাল ৮টা থেকে চিড়িয়াখানা রোডে অবস্থিত গ্রামীণ টেলিকম ভবনের সামনে একদল নারী-পুরুষ অবস্থান নেন। তারা ঝাড়ু হাতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এছাড়া গ্রামীণ টেলিকমে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাইরে বের করে দেন। এ সময় আশপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি ছিল। গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষের দাবি, এদের সবাই স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।
সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম