‘ধনী-গবিবের ব্যবধান কমাতে বহুমাত্রিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নাধীন’
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:১৪
ঢাকা: ধনী-গরিবের ব্যবধান কমিয়ে আনার জন্য সরকারের মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বহুমাত্রিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নাধীন আছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পার্টির মো. মুজিবুল হকের প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করছিলেন।
আব্দুস সালাম বলেন, ‘আয় বৈষম্য বা ধনী-গরিবের ব্যবধান কমিয়ে আনার জন্য আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বহুমাত্রিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নাধীন আছে। জাতির পিতা বঙ্গন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ। অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরের শাসনামলে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সত্ত্বেও জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ হতে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭ দশমিক ১০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। জাতীয় দারিদ্র্যের হার ২০১৬ সালের ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ হতে ২০২২ সালে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে। চরম দারিদ্র্যের হারও ২০১৬ সালের ১২ দশমিক ৯ শতাংশ হতে অর্ধেকের বেশি হ্বাস পেয়ে ২০২২ সালে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ এ নেমে এসেছে। অর্থাৎ ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৫ সাল নাগাদ চরম দারিদ্র্য হাসের যে লক্ষ্যমাত্রা (৭ দশমিক ৪ শতাংশ), তা ইতোমধ্যে অর্জিত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি সত্য যে, উচ্চ হারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও উল্লেখযোগ্য হারে দারিদ্য কমলেও আয়-বৈষম্য হ্রাস সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। বিবিএস’র সর্বশেষ খানা আয়-ব্যয় জরিপানুসারে, ২০২২ সালে আয়-বৈষম্যের মান ০-৪৯৯। তবে ভোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশে বৈষম্য ০:৩০-০.৩২ এ স্থিত হয়ে আছে, যা আয় বৈষম্যের প্রভাব কমিয়ে এনেছে।’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন, ভোগ ব্যয়-বৈষম্য পরিমাপে অধিকতর নির্ভরযোগ্য। আয়-বৈষম্য মূলত বাজার অর্থনীতিরই একটি স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য, যার মূলে রয়েছে সম্পদ ও মানব পুঁজির অসম বণ্টন। অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্থাৎ প্রবৃদ্ধির সুবিধা সকল জনগোষ্ঠীর মাঝে সমানভাবে বণ্টন নিশ্চিত করা গেলে আয়-বৈষম্য কমিয়ে আনা সম্ভব।’
তিনি জানান, সরকার দারিদ্র্য ও আয়-বৈষম্য দূরীকরণে যথেষ্ট আন্তরিক। সরকারের সকল দীর্ঘ ও মধ্য মেয়াদি পরিকল্পনা উন্নয়ন কৌশলের ভিত্তিমূলে রয়েছে অন্তর্ভুক্ত অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম