যেসব শর্তে সরকার গঠন করবে পিএমএল-এন ও পিপিপি
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:৫১
সরকার গঠনের বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছে নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে জোট সরকার গঠন করা হবে। আর উভয় দলের মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হবেন পিপিপি’র কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে দরকষাকষির পর এই সমঝোতায় জোট সরকার গঠনে করতে যাচ্ছে দল দু’টি। খবর দ্য ডন।
দীর্ঘ আলোচনার পর গত মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে জোট সরকার গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন পিএমএল-এন ও পিপিপি নেতারা। নেতা জানান, তারা ‘জাতির স্বার্থে’ আবারও জোট সরকার গঠন করছেন।
সমাঝোতা অনুযায়ী, দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার হবেন পিএমএল-এন থেকে। আর সিনেটের চেয়ারম্যান, খাইবার পাখতুনখোয়া ও পাঞ্জাব রাজ্যের গভর্নর হবেন পিপিপি’র। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পাবে পিএমএল-এন। এছাড়া বেলুচিস্তানে দুই দল যৌথভাবে সরকার গঠন করবে। সিন্ধু ও বেলুচিস্তানের গভর্নর হবে পিএমএল-এন থেকে।
তবে পিএমএল-এন সরকারের সকল বিষয়ে পিপিপি সমর্থন দেবে, এমন নিশ্চয়তা দেয়নি দলটি। পিপিপি শুধুমাত্র আস্থার প্রস্তাব এবং ব্যয় বিলের ক্ষেত্রে সংসদে পিএমএল-এন’র সঙ্গে ভোট দেবে। অন্য সব কিছুতে পিএমএল-এন ও পিপিপি তাদের নিজ নিজ অবস্থানে থাকতে পারে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা শেষ হয় বিকলে ৫টায়। ক্রমবর্ধমান জঙ্গি হামলা, অর্থনৈতিক সংকট এবং রাজনৈতিক মেরুকরণের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় পাকিস্তানে। এই নির্বাচনে দেশটির কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন পায়নি। এরপর থেকেই সরকার গঠন নিয়ে দলগুলোর মধ্যে ব্যাপক দরকষাকষি শুরু হয়।
দেশটির ২৬৬টি আসনে মধ্যে কারাবন্দি ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৯৩টিতে জয়লাভ করেন। এদিকে সেনাবাহিনীর সমর্থিত নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন মাত্র ৭৩টি আসন পায়। বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি জিতেছে ৫৪টি আসন। জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলাম (এফ) পেয়েছে ৩টি আসন। এছাড়া অন্যান্য দলগুলো পেয়েছে ৩৩টি আসন।
৩৩৬ আসনের দেশটির জাতীয় পরিষদে সরকার গঠন করতে ১৬৯টি আসনের প্রয়োজন। তবে ভোটাররা সরাসরি ২৬৬ জন সদস্যকে নির্বাচিত করতে পারেন। আর বাকি ৭০টি আসন সংরক্ষিত। এর মধ্যে ৬০টি নারী ও ১০টি অমুসলিমদের জন্য। নির্বাচনে প্রতিটি দলের জয়ী সদস্যদের সংখ্যার অনুপাতে এই সংরক্ষিত আসনগুলো বরাদ্দ করা হয়।
সারাবাংলা/এনএস