‘সমুদ্রে সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক এলাকা পেয়েছি’
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:৪১
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধান এবং আহরণের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। আজ আমাদের বিশাল সমুদ্রসীমার অধিকার রয়েছে, আমরা সম্ভাবনাময় একটা বিশাল অর্থনৈতিক এলাকা পেয়েছি।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট-১৯৭৪’-প্রণয়নের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ব্লু ইকোনমি যাতে বাস্তবায়ন করতে পারি তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। এখন আমাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে, সমুদ্র সম্পদ কীভাবে ব্যবহার করব। বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্রসীমা রয়েছে, সেখানে আমাদের কোনো অধিকার ছিল না। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যা করে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা ক্ষমতায় এসেছিল, ২১টা বছর তারা সমুদ্রসীমার অধিকার নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেনি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্থল সীমানার চুক্তি বঙ্গবন্ধু করে গিয়েছিলেন। ভারতের সঙ্গে চুক্তি করেন। একইসঙ্গে সংবিধান সংশোধন করে চুক্তি বাস্তবায়ন করেন। পরবর্তীতে সেটা কার্যকর করা হয়নি। ২১ বছর পর আমরা যখন সরকারে আসি, এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ শুরু করি। তখন কাজগুলো খুব গোপনীয়তার সঙ্গে শুরু করতে হয়েছিল। আমাদের সমুদ্রসীমা যাতে নিশ্চিত হয়, সেজন্য জাতিসংঘে আমরা সই করে আসি।’
তিনি বলেন, ‘২০১২ এবং ২০১৪ সালে বাংলাদেশ-মিয়ানমার এবং ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমার নিষ্পত্তি করি। আজ বিশাল সমুদ্রসীমার অধিকার রয়েছে, আমরা সম্ভাবনাময় একটা বিশাল অর্থনৈতিক এলাকা পেয়েছি। আমাদের সমুদ্রে যে মৎস্য সম্পদ, উদ্ভিদ ও অন্যান্য সামুদ্রিক সম্পদ রয়েছে। বিশেষ করে খনিজ, তেল ও গ্যাস সম্পদ রয়েছে তা উত্তোলন করতে হবে। এটা আমাদের দেশের জন্য প্রয়োজন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে বিশাল সমুদ্র সীমা অর্জন করেছি। সেটা ব্যবহার করে দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারি, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যেতে চাই।’
বিদেশি বিনিয়োগ আহ্বান করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের দেশে এগিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে যারা বিনিয়োগ করতে চান, তাদেরও আরও বিনিয়োগ করার আহ্বান জানাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন শুরু করেছি। আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হব না। কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার সক্ষমতা আমাদের থাকতে হবে। আমাদের দেশটা স্বাধীন দেশ, কাজেই স্বাধীনতা সুরক্ষায় যা প্রয়োজন সেটা করে যাব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে বিশাল জলরাশি, এই জলরাশির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নৌ বাহিনীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। সেটা তারা যথাযথ ভাবে পালন করে যাচ্ছে। আমরা চাই আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সবদিক থেকে দক্ষ হোক।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন নৌ পরিবহন সচিব মোস্তফা কামাল, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নাজমুল হাসান। পরে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
সারাবাংলা/এনআর/এনএস