ফেরি পাচ্ছে রায়েন্দা-বড়মাছুয়া খেয়াঘাট, যাত্রী হয়রানির অবসান
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:১১
বাগেরহাট: পূর্ব পারে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়া, পশ্চিম পারে বাগেরহাটের শরণখোলার রায়েন্দা খেয়াঘাট। মাঝে প্রমত্তা বলেশ্বর নদ। এই দুই ঘাট থেকে খেয়া পারাপারে দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছিল যাত্রী হয়রানি।
শেষ পর্যন্ত সেই জিম্মি দশার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। খেয়াঘাটের বর্তমান ইজারার মেয়াদ শেষ হলে আর নতুন করে ঘাটটি ইজারা দেওয়া হবে না। পাশাপাশি এই ঘাটে চালু হচ্ছে দুটি ফেরিও।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বড়মাছুয়া ফেরিঘাটে বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও পিরোজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য শামীম শাহ নেওয়াজ এক সমঝোতা সভায় খেয়ার ডাক বন্ধ করে ফেরিতে যাত্রী পারাপারের সিদ্ধান্ত নেন।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বড়মাছুয়া ও রায়েন্দা খেয়াঘাটের চলমান ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আগামী বৈশাখ মাস থেকে কেউ আর এই দুই খেয়া ঘাটের ইজারা নিতে পারবেন না। এ ছাড়া শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে দুটি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে নিয়োজিত থাকবে।
সভায় জানানো হয়, প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা পর পর দুই পার থেকে ফেরি চলাচল করবে। ফেরিতে পারাপারের জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে ১০ টাকা করে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
এর আগে বলেশ্বর নদের এই দুই পারের ঘাট থেকে নৌকায় যাত্রী পারাপার করা হতো। এর ভাড়া ১০ টাকা হলেও ইজারাদাররা ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করত। কখনো কখনো ১০০ বা ২০০ টাকাও গুনতে হতো যাত্রীদের। এমনকি হাতে বহনযোগ্য ব্যাগ বা মালামালের জন্যও বাড়তি ভাড়া নেওয়া হতো। খেয়া ঘাট আর ইজারা না দেওয়া ও ফেরি চলাচলের সিদ্ধান্তে প্রায় দুই যুগ ধরে চলে আসা এই যাত্রী নির্যাতনের অবসান ঘটছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয়রা।
সমঝতা সভায় মঠবাড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, শরণখোলা উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমল হোসেন মুক্তা ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন, মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুর রহমানসহ দুই উপজেলার আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ দুই পারের ভুক্তভোগী শত শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/টিআর