Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

২৩ দিন পর খুলছে সীমান্তের ৫ স্কুল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:৩৩

কক্সবাজার: মিয়ানমার অভ্যন্তরীন বিরোধের জেরে সীমান্তে অবস্থিত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলছে আজ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি)। গত সোমবার থেকে আজ সকাল পর্যন্ত গোলাগুলির শব্দ শুনতে না পাওয়ায় এবং পরিস্থিতি আগের চেয়ে স্বাভাবিক হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

স্থানীয়রা বলছেন, স্বস্তি ফিরে এলেও শঙ্কা এখনও কাটেনি। কখন আবার গোলাবারুদের বিকট শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায় তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

বিজ্ঞাপন

দীর্ঘ ২৩ দিন পর সাময়িক বন্ধ থাকা ঘুমধুম সীমান্তের পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আজ থেকে শুরু হয়েছে শ্রেণি কার্যক্রম। এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রিরতন চাকমা জানান, ঘুমধুম সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কারণে সাময়িক বন্ধ থাক পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিতভাবে ক্লাস চলবে।

বিদ‌্যালয়গু‌লো হ‌চ্ছে- ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার বাইশ পারি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুল তুমব্রু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দ‌ক্ষিণ ঘুমধুম মিসকাতুল নবী দা‌খিল মাদরাসা।

এদিকে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারী জানান, এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক। বিস্ফোরণ বা গোলাগুলির শব্দ নেই। কিন্তু এরপরও সীমান্তের লোকজন শঙ্কায় আছেন। এখনও বন্ধ আছে টেকনাফের নাফনদীর কাছের চিংড়ি ঘেরে চাষাবাদ।

তিনি জানান, সর্বশেষ সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত থেমে থেমে মর্টার শেল ও গোলাগুলির বিকট শব্দ শুনেছেন সীমান্তের হোয়াইক্যং উনচিপ্রাং সীমান্তের মানুষ। এ সময় মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আগুনের কালো ধোঁয়াও দেখা গেছে। এরপর থেকে আজ সকাল পর্যন্ত আর কোনো গুলির শব্দ শোনা যায়নি।

বিজ্ঞাপন

উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, এক মাস ধরে ওপারে গোলাগুলি ঘটনা চলছে। গোলাগুলি কখন বন্ধ হয়, কখন শুরু হয় বলা যাচ্ছে না। এখনও লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

একইভাবে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, এখন গোলাগুলির শব্দ শোনা না গেলেও হতাহতের ঘটনায় ভয় পাওয়া লোকজনের মন থেকে আতঙ্ক কাটছে না। তারা ভয়ে আছে আবার যদি গুলাগুলি শুরু হয় তাহলে ওখান থেকে ছোড়া গুলিতে এপারের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বিজিবি’র টেকনাফ দুই ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, রাখাইন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি সদস্যদের তৎপর রাখা হয়েছে।

সারাবাংলা/ওএফএইচ/ইস/ইআ

ঘুমধুম সীমান্ত নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা মিয়ানমার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর