Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে টিটুর ২৩ দফা নির্বাচনি ইশতেহার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৩ মার্চ ২০২৪ ২৩:২৫

ময়মনসিংহ: উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে স্মার্ট নগরী গড়ার প্রত্যয়ে ২৩ দফা নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনে ঘড়ি প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মো. ইকরামুল হক টিটু।

রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘আমি পরিচ্ছন্ন, যানজট ও জলজট মুক্ত একটি সমৃদ্ধ ময়মনসিংহ গড়তে চাই। আপনার কাছে আপনার পরিবার যেমন, আমার কাছে এ নগরটি তেমন।’

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলসহ জেলা ও মহানগরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচনি ইশতেহার

১. নগরীর প্রধান সমস্যা যানজট নিরসনে সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত সড়কগুলো প্রশস্তকরণ। দাখিলকৃত ও প্রধান সড়কের মোড়গুলো প্রশস্থকরণে প্রকল্প অনুমোদনের মাধ্যমে বিদ্যমান যানজট নিরসন ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে ওভারপাস বা ফ্লাইওভার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ।

২. যানজট নিরসনে সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তা প্রশস্তকরণ, রেলপথ বিভাগের ওভারপাস ও আন্ডারপাস নির্মাণ, ট্রাফিকসহ বিভাগের জনবল বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ প্রদান ও আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপনে সব বিভাগের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ।

৩. নগরীর প্রবেশদ্বারের কাছাকাছি তিনটি বাস টার্মিনাল ও একটি ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণের দাখিলকৃত প্রকল্প দ্রুত অনুমোদনের মাধ্যমে নগরীর যানজট নিরসনে উদ্যোগ গ্রহণ।

৪. নগরবাসীর যাতায়তের সুবিধার্থে চলমান রাস্তাগুলো পাকাকরণ প্রকল্প দ্রুত শেষ করা ও নতুন-পুরাতন সব ওয়ার্ডের সমস্ত রাস্তাঘাট, ব্রিজ ও কালভার্ট দ্রুত নির্মাণ।

বিজ্ঞাপন

৫. নগরীর খালগুলো দখলমুক্ত করার মাধ্যমে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি ও জলাবদ্ধতা নিরসনের চলমান ড্রেনেজ নির্মাণ প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করার উদ্যোগ গ্রহণ।

৬. হোল্ডিং ট্যাক্স না বাড়িয়ে নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধি ও ট্রেড লাইসেন্স ফি যুক্তিসঙ্গত ও সহনীয় পর্যায়ে রাখা এবং পৌর করকে আরও সহনীয় করতে সম্মানিত নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ।

৭. পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত নগরী গড়ার লক্ষ্যে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নির্মাণাধীন প্ল্যান্ট দ্রুত বাস্তবায়ন ও অন্যন্য কার্যক্রমগুলো আরও জোরদার করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ। পাশাপাশি নগরীর সর্বত্র দুষণ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ।

৮. বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রক্রিয়াধীন প্রস্তাবটি দ্রুত অনুমোদনের ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বর্জ্যমুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে উদ্যোগ গ্রহণ।

৯. বিভিন্ন অপতৎপরতা রোধ করে আলোকিত নগরায়নের লক্ষ্যে নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে চলমান ‘সড়ক বাতি’ স্থাপন প্রকল্প দ্রুত শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ।

১০. সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সময় প্রদত্ত বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাগুলোর সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করা ও অন্যান্য নাগরিক সেবাগুলো জনগণের কাছে সহজলভ্য করার ব্যবস্থা করা।

১১. নাগরিক সেবা আরও সহজলভ্য করতে প্রস্তাবিত আধুনিক ‘নগর ভবন’ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন ও নাগরিক সেবাগুলো ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ গ্রহণ।

১২. নগরীর সৌন্দর্য বর্ধনের লক্ষ্যে নানা ধরনের যুগোপযোগী পরিকল্পনা প্রণয়ন। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে ও সবুজ নগরায়নের লক্ষ্যে রাস্তার দুই পাশে ও খোলা জায়গা পর্যাপ্ত বৃক্ষরোপণ ও জলধার নির্মাণ ও সংরক্ষণের উদোগ গ্রহণ।

বিজ্ঞাপন

১৩. নগরবাসীর সুচিকিৎসা নিশ্চিতের লক্ষ্যে চলমান চারটি নাগরিক সেবা কেন্দ্রের পরিধি বৃদ্ধি ও দুটি নির্মাণাধীন হাসপাতাল দ্রুত শেষ করার উদ্যোগ গ্রহণ।

১৪. নগরবাসীর বেকারত্ব রোধে নারী-তরুণদের নানাবিধ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া।

১৫. বেকারত্ব রোধে ময়মনসিংহ নগরীকে শিল্পনগরী ও পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা করার উদ্যোগ গ্রহণ।

১৬. বর্ধিত নতুন এলাকাগুলোতে নগর বিন্যাসের পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে আগামী নগরীকে সাচ্ছন্দ্যময় করে তোলা।

১৭. নগরীর প্রত্যেক এলাকায় সহজাত তারুণ্যের বিকাশে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্লাব গঠন ও পর্যাপ্ত খেলার মাঠ ও উন্মুক্ত মঞ্চ তৈরিতে সহযোগিতা প্রদান।

১৮. বিভাগীয় সাংস্কৃতিক পল্লী নির্মাণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ।

১৯. শিশুদের শারীরিক বিকাশের জন্য প্রস্তাবিত ‘শেখ রাসেল শিশু পার্ক’ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন ও ‘বিপিন পার্ক’ আধুনিকায়নের উদ্যোগ গ্রহণ।

২০. সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও কবরস্থান, শ্মশান ঘাটগুলো আরও সুবিধাসম্বলিত উন্নত করণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।

২১. মাদকসেবন ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হতে বিরত রাখতে যুব সমাজের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ ও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা প্রদান।

২২. সিটি করপোরেশনে বিদ্যমান পাঁচটি অনলাইন সেবা ছাড়াও অন্যান্য সেবা ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে সম্মানিত নাগরিকবৃন্দের হাতের মুঠোয় পৌঁছে দেওয়া এবং ৩৩ টি ওয়ার্ডে স্মার্ট কর্নার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ।

২৩. বিভিন্ন অ্যাপস’র মাধ্যমে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে নাগরিকদের যোগাযোগ সহজ করতে ব্যবস্থা গ্রহণ।

সারাবাংলা/পিটিএম

ইকরামুল হক টিটু নির্বাচনি ইশতেহার ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর