২০ ঘণ্টাতেও নেভানো সম্ভব হয়নি চিনিকলের আগুন
৫ মার্চ ২০২৪ ১২:১৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: রাত পেরিয়ে দিনের আলো ফুটেছে, পেরিয়ে গেছে প্রায় ২০ ঘণ্টা। তাতেও দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চিনি পরিশোধন কারখানায় লাগা আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি। শুধু তাই নয়, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগুন পুরোপুরি নেভাতে আরও দুই থেকে তিন দিন সময় লাগতে পারে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছেন। ফায়ার সার্ভিসের সাতটি স্টেশনের ১৪টি ইউনিটের ১৫০ জন সদস্য আগুন নেভাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আগুনে হতাহতের কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
সোমবার (৪ মার্চ) রাত ১১টার দিকে ওই চিনিকলের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছিল। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কাজ করেছিল সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী সদস্যরা। তবে সকালে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদেরই আগুন নেভাতে কর্মরত দেখা গেছে।
ঘটনাস্থলে থাকা চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আবদুর রাজ্জাক সারাবাংলাকে জানান, ভেতরে ১২০০ থেকে ১৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় আগুন জ্বলছে। এত তাপমাত্রার মধ্যে সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঢুকতে পারছেন না। চিনির কাঁচামালগুলো দাহ্য পদার্থ হওয়ায় সেগুলো না সরানো পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হবে না। আগুন পুরোপুরি নেভাতে দুই থেকে তিন দিন লেগে যেতে পারে।
এস আলম গ্রুপের হেড অব অপারেশন আদিল রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘আগুন নেভাতে সবাই কাজ করছে। এখানে দেড় লাখ টন চিনির কাঁচামাল ছিল। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না।’
বাজারে এর প্রভাব পড়বে কি না— এমন প্রশ্নের উত্তরে আদিল বলেন, ‘আমাদের চিনির মজুত যথেষ্ট। আশা করছি, বাজারে এর প্রভাব পড়বে না।’
এর আগে সোমবার বিকেল ৪টার দিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা এলাকায় এস আলম সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে আগুন লাগে।
সারাবাংলা/আইসি/টিআর