Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চিনির রাসায়নিক-ছাইভস্ম মিশে হুমকিতে কর্ণফুলীর জীববৈচিত্র্য

ইমরান চৌধুরী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৫ মার্চ ২০২৪ ২২:৫৪

এস আলমের চিনিকলে আগুনের ঘটনায় অপরিশোধিত চিনি আগুনে পুড়ে ও গলে সৃষ্ট রাসায়নিক গিয়ে মিশছে কর্ণফুলী নদীতে। ছবি: সারাবাংলা

চট্টগ্রাম ব্যুরো: কারখানা ভর্তি অপরিশোধিত চিনি। সেই কারখানায় আগুন। সাত ঘণ্টা পেরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি নেভেনি ২৪ ঘণ্টাতেও। এস আলম গ্রুপের সেই চিনিকলের আশপাশের গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই অপরিশোধিত চিনি। এগুলোর কিছু অংশ আগুনের তাপে গলিত, কিছু বাষ্পীভূত; পুড়ে যাওয়া অপরিশোধিত চিনি গলেও ছড়িয়ে পড়ছে কারখানা থেকে। আর সবগুলোরই গন্তব্য কর্ণফুলী নদী। সেখানে গিয়ে এসব বর্জ্য মিশে যাচ্ছে নদীর পানিতে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এস আলম গ্রুপের চিনিকল এস আলম সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এই আগুনের মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে কর্ণফুলী নদীতে। কারণ ওইসব গলিত তরল ও ভস্মীভূত ছাইয়ে দূষিত হচ্ছে পানি, যা নদীর মাছসহ জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের জন্য হুমকির কারণ। দূষণের তদন্তে নেমে পরিবেশ অধিদফতর এরই মধ্যে নদী থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করেছে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর এলাকায় এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলসংলগ্ন নদীতে অপরিশোধিত চিনি গলে সৃষ্ট তরল পানিতে মিশতে দেখা যায়।

আরও পড়ুন-

সকালে কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, মূল ফটক থেকে সামান্য দূরে কারখানার এক নম্বর গুদামে তখনো আগুন জ্বলছে। আগুন নেভাতে ব্যস্ত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আগুনের প্রবাহ ঠেকাতে গুদামের আশপাশে ট্রাকে করে এনে দেওয়া হচ্ছে বালি।

আগুনের প্রভাবে গুদামের ছাদের বেশির ভাগ টিন কালো হয়ে বেঁকে গেছে। তবে আগুন লাগা গুদামের আশপাশের আরও চারটি গুদামে আগুন পৌঁছায়নি। ক্ষতি হয়নি অন্যান্য গুদামে থাকা কাঁচামালেরও— এমনটিই জানা যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও কারখানা কর্তৃপক্ষ সূত্র থেকে।

আগুন লাগার ৩০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তা নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ছবি: সারাবাংলা

এস আলম সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে এই আগুন লাগে সোমবার বিকেল ৪টার দিকে। ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। সঙ্গে যুক্ত হন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের সদস্যরাও। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রাত ১১টার দিকে, আগুন লাগার সাত ঘণ্টা পর সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর আরও প্রায় একদিন পেরিয়ে গেলেও আগুন পুরোপুরি নেভেনি।

চিনি গলে সৃষ্ট ‘ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক’ পড়ছে কর্ণফুলীতে

কারখানার যে গুদামটি আগুনে পুড়েছে, তার আয়তন ৬৫ হাজার ৭০০ বর্গফুট। মূল ফটক থেকে গুদাম পর্যন্ত পুরো রাস্তায় অপরিশোধিত চিনি গলে পরিণত হওয়া তরল পড়ে লালচে কালো কাদায় পরিণত হয়েছে। সেগুলো নালার মতো হয়ে চলে যাচ্ছে কারখানার একেবারে পেছনে কর্ণফুলী নদীতে। গলে যাওয়া গরম চিনির তরলের ওপর হেঁটে প্রতিষ্ঠানের পেছনে গিয়ে দেখা গেছে এ চিত্র।

স্থানীয় ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, সোমবার রাত থেকেই তরলগুলো কারখানার থেকে অন্তত ১০০ মিটার দূরে থাকা কর্ণফুলী নদীতে পড়তে থাকে। গলে যাওয়া চিনি কালো হওয়ায় তীরে কাছাকাছি নদীর পানিও কালো রঙ ধারণ করেছে। এ ছাড়া কারখানার আশপাশে গলে যাওয়া চিনির আস্তরণ সরানো হচ্ছে এসক্যাভেটর দিয়ে। এর মধ্যে কিছু কিছু নদীতেও পড়তে দেখা গেছে।

অপরিশোধিত চিনি আগুনে পুড়ে-গলে তৈরি হয়েছে রাসায়নিক পদার্থ। ছবি: সারাবাংলা

চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ হারুন পাশা সারাবাংলাকে বলেন, ‘যে গুদাম পুড়েছে, এখানে সব ছিল অপরিশোধিত চিনি। অপরিশোধিত চিনি মূলত কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের একটি যৌগ। কার্বন ও অক্সিজেন দুটিই আগুন জ্বলতে সহায়তা করে। ৩৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রায় অপরিশোধিত চিনি গলে গিয়ে ভোলাটাইল কেমিকেলে (ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক) পরিণত হয়।’

জানতে চাইলে ঘটনাস্থলে থাকা এস আলম গ্রুপের প্রধান ভূ-সম্পদ কর্মকর্তা মোস্তফা বিল্লাহ আদিল সারাবাংলাকে জানান, গলিত চিনি গাড়িতে করে নিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা হচ্ছে এবং তাদের নিজস্ব ড্রেনেজ সিস্টেম আছে। পরে প্রতিষ্ঠানের এ কর্মকর্তাকে চিনির তরল গিয়ে নদীতে পড়ছে এমন ছবি দেখিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এত বড় একটি ঘটনায় কিছু জিনিস নদীতে পড়তেই পারে। এটা আমাদের কাছে এখন মূল বিষয় না। এখন জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করাই আমাদের সবার কাজ।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা বিশেষজ্ঞ ডক্টর মনজুরুল কিবরিয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘যদি এরকম কোনো কিছু গিয়ে নদীতে পড়ে তাহলে অবশ্যই সেটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। নদীর পানির মান নষ্ট হবে। নদীর জীববৈচিত্র্যে আঘাত হানবে। ফলে নদীতে থাকা মাছ ও জলজ প্রাণীদের জীবন হুমকিতে পড়বে।’

রাসায়নিক বর্জ্যে কারখানার আশপাশ পুরোটা কালো আকার ধারণ করেছে। ছবি: সারাবাংলা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আবদুল ওয়াহেদ চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘চিনি পুষ্টিকর খাবার। কিন্তু পানিতে সেটি অতিমাত্রায় মিশলে ইউট্রোফিকেশন (জলদূষণজনিত কারণে জলাশয়ে অতিরিক্ত পুষ্টি উপাদান সৃষ্টির মাধ্যমে প্লাংকটনের সংখ্যার আধিক্য দেখা দেয়, ফলে জলের গুণমানের ঘাটতি দেখা যায়) হয়। এখন এটি জলাশয়ে হলে জলজ প্রাণীদের বেশ ক্ষতি হয়। নদীতে ইউট্রোফিকেশন হলে অস্থায়ীভাবে সমস্যা তৈরি করতে পারে, সেটি দীর্ঘস্থায়ী না-ও হতে পারে। তবে এটি যদি আবার মাস দুয়েক ধরে চলতে থাকে, তাহলে নদীর জীববৈচিত্র্য ক্ষতির সম্মুখীন হবে।’

বাংলাদেশ নৌবাহিনী অ্যাংকারেজ স্কুল অ্যান্ড কলেজের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক শহীদুল ইসলাম সারাবাংলাকে জানান, নদী অথবা সমুদ্রের পানিতে যখন অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার চিনি (রসায়নের ভাষায় যেটাকে সুক্রোজ বলা হয়ে থাকে, যা মূলত গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ) অধিক মাত্রায় মিশ্রিত হবে, তখন এটা পানির পুষ্টিমান বাড়িয়ে দিতে পারে, যা পরে ইউট্রোফিকেশন ঘটাতে পারে। ফলে পানিতে অতিরিক্ত শৈবাল ও অন্যান্য জলজ উদ্ভিদ ও ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

এতে পানির দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকবে, যা নদী ও সামুদ্রিক মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণীর জন্য হুমকিস্বরূপ। চিনি থেকে পাওয়া অতিরিক্ত পুষ্টি জলজ বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্যকে ব্যহত করতে পারে, যা খাদ্যশৃঙ্খলকে প্রভাবিত করে জীববৈচিত্র্যের হ্রাস ঘটাতে সক্ষম।

রাসায়নিক ও বর্জ্য বের হয়ে প্রবাহিত হচ্ছে কারখানার পেছন দিক দিয়ে। ছবি: সারাবাংলা

শহীদুল বলেন, ‘পানিতে অতিরিক্ত চিনি ক্ষতিকারক অ্যালগাল ব্লুম (শৈবালের অতিবৃদ্ধি) বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, যা মানুষ, প্রাণী ও অন্যান্য জলজ জীবের জন্য ক্ষতিকারক বিষাক্ত পদার্থ তৈরি করতে পারে। অতিরিক্ত চিনির ফলে দূষিত ভূপৃষ্ঠস্থ পানিতে অর্গানিক কার্বনের মাত্রাও বাড়বে, যা পানির গুণাগুণ নষ্ট করে জলজ প্রাণীর জন্য হুমকির কারণ হবে।’

প্রাণ-প্রকৃতি গবেষক ও চবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক রাসেল সারাবাংলাকে বলেন, ‘যদি তরলগুলো গরম অবস্থায় নদীতে পড়ে, তীরসংলগ্ন এলাকায় কোনো জলজ উদ্ভিদ বেঁচে থাকবে না। ঠান্ডা হয়ে পড়লে নদীর পানি দূষিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। আর নদীর পানি দূষিত হলে ওখানে থাকা মাছ ও অন্যন্য প্রাণীর সমস্যা হবে। জলজ উদ্ভিদও সংকটে পড়বে।’

গলিত চিনি পানির সঙ্গে মিলে নদীতে পড়ার কারণে দূষণ হচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদফতরের উপপরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ওখানে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছি। যে পানিগুলো নদীতে গিয়ে পড়ছে সেগুলো ফায়ার সার্ভিসের ব্যবহৃত পানি। এর সঙ্গে অপরিশোধিত গলিত চিনির মিশ্রণ আছে, ছাইভস্ম আছে। সুতরাং নদীর পানি দূষিত হচ্ছে, এটা স্বাভাবিক। প্রভাব পড়বেই।’

‘হয়তো পানিটা অন্যদিকে প্রবাহিত করতে পারলে ভালো হত। তবে আমাদের বুঝতে হবে, এটি জরুরি পরিস্থিতি। ক্ষতি কিছুটা হবেই। কিন্তু এটি যেহেতু সাময়িক, তাই নদীর পানির প্রবাহের সঙ্গে পরিশোধন হয়ে যাবে। তবুও অন্য কিছু থাকলে সেটা আমরা নমুনার মাধ্যমে জানতে পারব,’— বলেন পরিবেশ অধিদফতরের এই কর্মকর্তা।

এস আলম গ্রুপ সূত্রে জানা গেছে, মজুত রাখা চিনির কাঁচামালগুলো ছিল দানাদার, যা মূলত আখ থেকে তৈরি। ব্রাজিল থেকে এসব চিনির কাঁচামাল আমদানি করা হয়েছিল। বিভিন্ন পর্যায়ে মেশিনের মাধ্যমে পরিশোধন করে খাওয়ার উপযুক্ত করার কথা ছিল এসব অপরিশোধিত চিনি।

কারখানার সামনের এলাকা, ভেতরে এখনো জ্বলছে আগুন, বাইরে বয়ে যাচ্ছে গলিত-পোড়া চিনির প্রবাহ। ছবি: সারাবাংলা

অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় ত্রুটি ছিল: ফায়ার সার্ভিস

এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলে আগুন নির্বাপণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক। মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

আবদুল মালেক বলেন, ‘এগুলো র (কাঁচা বা অপরিশোধিত) সুগার। যতই পানি দেই, আবার আগুন ধরে যায়। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। আশেপাশে ব্যবহারযোগ্য পানির উৎস নেই। অনেক দূর থেকে পানি আনতে হয়েছে। এখানে পানি রিজার্ভের জায়গাগুলো আরও কাছে থাকলে ভালো হতো। এখানে ফায়ার সেফটি ইনসিকিউরড ছিল। এত বড় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ফায়ার সেফটি আরও বেশি এবং ভালোভাবে থাকার দরকার ছিল। বিশেষ করে এখানের ফায়ার হাইড্র্যান্ট দরকার। এখানে ফায়ার হাইড্র্যান্টগুলো থাকলে এত বেগ পেতে হতো না। আগুন নেভানো আরও সহজ হতো।’

অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় ত্রুটি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এস আলম গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক (করপোরেট) আকতার হোসেন বলেন, ‘এ ব্যাপারে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। আপনারা সরেজমিনে আছেন, আমাদের কোনো লিকেজ আছে কি না, দেখেন। অগ্নিঝুঁকি থেকে বাঁচতে যা যা দরকার তা আমাদের ছিল। মেজর (প্রধান) যেগুলো (ব্যবস্থা) নেওয়ার কথা ছিল, তা পুরোটাই নেওয়া হয়েছিল।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কর্ণফুলীতে দীর্ঘ সময় এই দূষণ চলতে থাকলে তা নদীর জীবববৈচিত্র্যের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। ছবি: সারাবাংলা

৭ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দেবে কমিটি

চিনিকলে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় সোমবার রাতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার পাশা এ কমিটি গঠন করেছিলেন। মঙ্গলবার তদন্ত কমিটিতে আরও দুই সদস্য বাড়িয়ে ৯ সদস্যের করা হয়।

এদিন দুপুরে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমানসহ অন্য সদস্যরা ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শন শেষে মামুনুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘তদন্ত কমিটির সব সদস্য নিয়ে আজ সকালে আমরা বসেছিলাম। সেখান থেকে এখন পরিদর্শনে এসেছি। এখানকার ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি। নেপথ্যের কারণ কী, ভবিষ্যতের জন্য নির্দেশনা কী হবে— সব বিষয়ে আমরা কাজ করছি। প্রত্যেকের বক্তব্য নিয়েছি।’

মামুনুর রহমান আরও বলেন, ‘এখানে আমাদের সঙ্গে ইউএনও, ওসি, ফায়ার সার্ভিস ও কল কারখানা পরিদর্শন অধিদফতরসহ সবার প্রতিনিধি আছে। তদন্ত শেষ করতে কিছু সময় লাগবে। যেহেতু এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি, তাই পরশু আমরা আবার আসব। আশা করি দ্রুত অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানাতে পারব। এটা দুর্ঘটনা নাকি অন্য কিছু, তা এখনো নিশ্চিত না।’

‘ফায়ার সার্ভিসের যারা কাজ করছেন তারাও এখনো ভেতরে যেতে পারেননি। কীভাবে কী হয়েছে, তা আমরা দেখব। এখন বিভিন্ন ডকুমেন্ট দেখেছি। আমাদের কমিটিকে অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে সুপারিশও দিতে বলা হয়েছে, যেন আর না ঘটে। ৯ সদস্যের এ কমিটিকে সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য। তদন্ত চলছে,’— বলেন তদন্ত কমিটির দায়িত্বে থাকা এই অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।

সারাবাংলা/আইসি/আরডি/টিআর

আগুন এস আলম কর্ণফুলী নদী চিনি কারখানায় আগুন ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক নদী দূষণ পানি দূষণ ফায়ার সার্ভিস রাসায়নিক পদার্থ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

এখনো সালমানকে মিস করেন মৌসুমী
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৩

সালমান শাহ্‌কে হারানোর ২৮ বছর
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৪

সম্পর্কিত খবর