Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভিকারুননিসায় ১৬৯ ছাত্রীকে ভর্তির নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৬ মার্চ ২০২৪ ২৩:২৯

ঢাকা: ভিকারুননিসার প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলের পর এসব শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করে সেই তালিকা আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৪ মার্চের মধ্যে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে এই ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।

১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলের প্রতিবেদন হলফনামা আকারে আদালতে দাখিলের পর বুধবার (৬ মার্চ) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এদিকে, এই রিট মামলায় ভর্তি বাতিল হওয়া ১৬৯ শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মধ্যে ৩৬ জন পক্ষভুক্তির আবেদন করেছেন। আদালতে স্কুলের পক্ষে আইনজীবী রাফিউল ইসলাম ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

পরে কাজী মাইনুল হাসান বলেন, ‘শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করে তার তালিকা হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।’

এর আগে বিধি বহির্ভূতভাবে ভর্তিকৃত প্রথম শ্রেণির ১৬৯ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির করতে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের প্রতি নির্দেশনা দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। মাউশির মহাপরিচালকের (ডিজি) পক্ষে থেকে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) দাখিল করা প্রতিবেদনে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়।

পরে মাউশির নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে সাত দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের প্রতি নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৬ মার্চ দিন ধার্য করা হয়। এদিন বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ওই দিন রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শামীম সরদার। ভিকারুননিসার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুহাম্মদ রাফিউল ইসলাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) কাজী মইনুল হাসান।

আইনজীবীরা জানান, ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাউশির সঙ্গে পরামর্শ করে চলতি বছরের জানুয়ারিতে লটারি পদ্ধতির মাধ্যমে বেইলি রোড, আজিমপুর শাখা, ধানমন্ডি শাখা ও বসুন্ধরা শাখায় ওই ১৬৯ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়।

নীতিমালা অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারির আগে জন্ম এমন শিক্ষার্থীরা ভিকারুননিসা নূন স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। কিন্তু ভর্তির পর দেখা যায়, ওই ১৬৯ শিক্ষার্থীর জন্ম ২০১৫ ও ২০১৬ সালে এবং ভর্তির বয়সসীমার নীতিমালা লঙ্ঘন করে তাদের ভর্তি করা হয়েছে।

এ কারণে প্রথম শ্রেণির ভর্তির তালিকায় অপেক্ষমাণ থাকা দুই শিক্ষার্থীর পক্ষে তাদের অভিভাবক এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে মাউশির ডিজি বরাবরে আবেদন করে। কিন্তু এ বিষয়ে মাউশির ডিজির পক্ষ থেকে সাড়া না পেয়ে গত ২৩ জানুয়ারি ওই দুই শিক্ষার্থীর পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারির পাশাপাশি এ বিষয়ে দুই শিক্ষার্থীর পক্ষে মাউশির মহাপরিচালক বরাবর করা আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। পরে ওই আবেদন মাউশির মহাপরিচালক নিষ্পত্তি করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মাউশির মহাপরিচালকের পক্ষে দাখিল করা ওই প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়।

সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম

অপেক্ষমাণ তালিকা ভিকারুননিসা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর