Saturday 12 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঘোড়া আটকাবে ঘড়িকে? বাসের বাধা হবে হাতি?

সৈকত ভৌমিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৯ মার্চ ২০২৪ ০১:২৯ | আপডেট: ৯ মার্চ ২০২৪ ১০:৫২

কুমিল্লা থেকে: রাত পোহালেই কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) উপনির্বাচনের ভোট। নির্বাচন ঘিরে শেষ মুহূর্তের নানা আলোচনায় ব্যস্ত ভোটাররা। নিরাপত্তা পরিস্থিতির পাশাপাশি ভোটারদের মনে প্রশ্ন— এবারও কি ঘোড়ার চালে আটকে যাবে ঘড়ির কাটা? বাসের পথ কি আটকে দিতে পারবে হাতি? নাকি ঘোড়া আর হাতিকে পেছনে ফেলে মূল লড়াই হবে বাস আর ঘড়ি মার্কায়?

কুমিল্লার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কুসিক উপনির্বাচনে দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের দুজন করে প্রার্থী থাকায় তাদের দোষ-গুণ, সক্ষমতা ও পারিবারিক-সামাজিক ঐতিহ্য ভোটারদের কাছে প্রাধান্য পাবে। ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকলে হাড্ডাহাডি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। আর সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তরুণ ভোটারদের পাশাপাশি সংখ্যালঘু ভোটার ও জামায়াতের ভোটারও প্রভাব ফেলতে পারে নির্বাচনে।

বিজ্ঞাপন

প্রার্থী কারা?

এবারের কুসিক উপনির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চারজন— সাবেক মেয়র বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মনিরুল হক সাক্কু (প্রতীক দেয়াল ঘড়ি), কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম (হাতি), মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসীন বাহার সূচনা (বাস) এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার (ঘোড়া প্রতীক)।

ঘোড়া কি আটকাবে ঘড়িকে?

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন উপনির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন দুবারের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। ২০২২ সালের ১৫ জুন অনুষ্ঠিত কুসিক নির্বাচনে আরফানুল হক রিফাতের কাছে মাত্র ৩৪৩ ভোটে হারেন তিনি। সেবার রিফাত পেয়েছিলেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট, সাক্কু ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। একই নির্বাচনে বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার পেয়েছিলেন ২৯ হাজার ৯৯ ভোট পান।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় বিএনপি নেতাদের ভাষ্য, কায়সার ‘ভোট কেটে নিয়েছিলেন’ বলেই শেষ পর্যন্ত সাক্কুকে হারতে হয়েছিল। শনিবারের (৯ মার্চ) উপনির্বাচন ঘিরেও ভোটারদের মনে প্রশ্ন— আবারও কি ঘোড়ার কারণে আটকে যাবে ঘড়ি?

বিএনপির রাজনীতিতে জেলায় উচ্চ পদে সক্রিয় থাকলেও দলের অমতে গিয়ে নির্বাচন করায় ২০২২ সালে বহিষ্কৃত হন মনিরুল হক সাক্কু। জেলা বিএনপির একটি অংশের নেতা-কর্মীদের দেখা গেছে তার নির্বাচনি প্রচারেও।

শুক্রবার (৮ মার্চ) নির্বাচনের শেষ মুহূর্তের পরিবেশ নিয়ে মনিরুল হক সাক্কু সারাবাংলাকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে তিনজন প্রার্থীই মূলত আওয়ামী লীগের। তাই আমি মানুষের ভোট দেওয়ার ও কথা বলার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ভোটে দাঁড়িয়েছি। এবারের ভোটটা হচ্ছে আমার প্রতিবাদ। মানুষ ভোট দিতে পারে না। স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে না। কাজ করতে পারে না। এর প্রতিবাদে আমি ভোটে দাঁড়িয়েছি। আমি মাঠে আছি। বুঝেশুনেই নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। গত নির্বাচনে আমাকে ষড়যন্ত্র করে হারানো হয়েছিল। এবার কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না।

অভিযোগ জানিয়ে সাক্কু বলেন, প্রতিদিন রাত ১২টার পর বিভিন্ন এলাকায় আমার কর্মীদের বাসায় গিয়ে বাস প্রতীকের সমর্থকরা হুমকি-ধমকি দেয়, খারাপ ব্যবহার করে। আমি অনুরোধ করব, এসব অত্যাচার করবেন না। ২৭টি ওয়ার্ডে ভোট হবে, সবাই সবাইকে চিনে। ভোটারদের উদ্দেশে বলব, গতবার যা হয়েছে এবার তা হবে না। আপনারা ভোটকেন্দ্রে আসুন, আপনাদের ভোট রক্ষা করা হবে, জোর করে কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না।

হাতি কি বাধা হবে বাসের?

কুসিক উপনির্বাচনে হাতি প্রতীকে লড়াই করছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম। ২০১২ সালের প্রথম সিটি নির্বাচনেও অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে তার। কলেজ জীবন থেকেই ছাত্ররাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা বর্তমান নির্বাচনে এগিয়ে রেখেছে তাকে। এ ছাড়া তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের দুই মেয়াদের কমিটিতে ছিলেন। তবে বিভক্তির কারণে বর্তমানে তিনি মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন। একটি বড় অংশের সমর্থন নেই তার প্রতি।

কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় যে অংশটি, তার সমর্থন পাচ্ছেন মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসীন বাহার সূচনা। তার বাবা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার স্থানীয় কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি। সেই সুবাদে মহানগর আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভায় প্রকাশ্য সমর্থন পেয়েছেন সূচনা। তবে এটিই তার প্রথম নির্বাচন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ভোটাররা বলছেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের ভোটারদের ভোট এবার বিভক্ত হবে। বিশেষ করে মহানগর আওয়ামী লীগের ‘বাহারবিরোধী’ অংশ হিসেবে পরিচিত আঞ্জুম সুলতানা সীমার নেতৃত্বাধীন ভোটাররা যদি হাতি প্রতীকের পক্ষে অবস্থান নেন, তাহলে নির্বাচন কঠিন হয়ে যাবে বাস প্রতীকের সূচনার জন্য। গত নির্বাচনে বিএনপির ভোট যেমন সাক্কু ও কায়সারের মধ্যে ভাগ হয়ে গেছে, সীমা এই নির্বাচনে বাহারকন্যার বিপক্ষে অবস্থান নিলে আওয়ামী লীগের ভোটও তেমন ভাগ হয়ে যেতে পারে।

তাহসীন বাহার সূচনা অবশ্য জয়ের বিষয়ে আশাবাদী। তিনি বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগ আমাকে সমর্থন দিয়েছে। জনগণও আমার সঙ্গে আছে। প্রচারে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। কুমিল্লাকে স্মার্ট নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে জনগণ আমাকেই বেছে নেবে।

নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে অবশ্য সূচনা ছাড়া বাকি তিন প্রার্থীই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম সারাবাংলাকে বলেন, প্রচার শেষ হলেও হুমকি-ধমকি বন্ধ নেই। ভোটের আগে কালো টাকার ছড়াছড়ি হচ্ছে, সুষ্ঠু ভোট প্রতিহতের অপচেষ্টা চলছে। ভেতরে ভেতরে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। কুমিল্লায় ভোটযুদ্ধের পাশাপাশি স্নায়ুযুদ্ধ ও পেশীশক্তির মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এমন চলতে থাকলে ভোটের দিন নির্বাচনি পরিবেশ বিঘ্নিত হবে।

ঘোড়া কতটা দৌড়াবে?

নিজের প্রথম সিটি করপোরেশন নির্বাচনেই ২৯ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে আলোচনায় আসেন নিজাম উদ্দিন কায়সার। ২০২২ সালের সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দল থেকে বহিষ্কৃত হন তিনিও। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের শ্যালক। এ কারণে কায়সার দলের বড় অংশের সমর্থন পাচ্ছেন।

তবে কুমিল্লার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির ভোট দুই ভাগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও সাক্কুর রাজৈনৈতিক প্রজ্ঞা ও জনপ্রতিনিধিত্বের অভিজ্ঞতার কারণে পিছিয়ে আছেন কায়সার। যদিও কায়সারের দাবি, বিএনপির মূলধারার ভোটারদের প্রার্থী তিনি। তার সঙ্গেই আছেন বেশির ভাগ নেতাকর্মী। পাশাপাশি নিরপেক্ষ ভোটারদের ভোটও তিনি পাবেন।

কায়সারের ভোটের প্রচারে স্থানীয় বিএনপির একটি অংশকে দেখা গেলেও রয়েছে ভিন্ন ভাবনাও। সমসাময়িক বিএনপির রাজনীতিবিদদের মধ্যে তার অবস্থান নিয়ে আছে ধোঁয়াশা। বিশেষ করে কুমিল্লা বিএনপির শক্তিশালী ঘাঁটি বোর্ড অফিস এলাকা, বজ্রপুর এলাকাসহ একাধিক স্থানে তার সমসাময়িক রাজনীতিবিদরা রয়েছেন নীরব ভূমিকায়। তা সত্ত্বেও জয়ের বিষয়ে আশাবাদী নিজাম উদ্দিন কায়সার।

ভোট ঘিরে বাঘবন্দি খেলার সমীকরণ

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুজন করে প্রার্থী হওয়ার কারণে কুমিল্লায় ভোটারদের মধ্যে চলছে নানা সমীকরণ। এর মাঝে সবচাইতে বেশি যে আলোচনা তা হলো— ভোট কাটাকাটির পর কে হতে পারেন মেয়র?

চার প্রার্থীর সম্ভাব্য শক্তি বিবেচনায় নিয়ে ভোটাররা সাংগঠনিকভাবে সংসদ সদস্যের কন্যা হিসেবে বাস প্রতীকের প্রার্থী তাহসীন বাহার সূচনাকে এগিয়ে রাখছেন। তবে সাক্কুর অভিজ্ঞতাকেও মূল্যায়নে নিচ্ছেন তারা। বিশেষ করে কাউন্সিলরদের নির্বাচন না থাকায় ভোটারদের কেন্দ্রে আনার মূল দায়িত্ব থাকবে প্রার্থীর পক্ষের নেতাকর্মীদের। এ অবস্থায় দক্ষিণের ৯টি ওয়ার্ডের ভোট হয়ে উঠতে পারে গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে একটা সময় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের মূল শক্তি বলে পরিচিত নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম তরুণদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়। এবারের নির্বাচনে তার প্রচারেও দেখা গেছে তরুণদের উপস্থিতি। তাই এবারের নির্বাচনে নগরীর সাড়ে ১১ হাজার নতুন ভোটারের প্রথম ভোট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে নিশ্চিতভাবে।

তরুণদের উপস্থিতি তাহসীন বাহার সূচনার প্রচারেও দেখে গেলেও মহানগরীর রাজনীতিতে বাবার হাত ধরে মেয়ের উত্থানকে স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছেন না ভোটার এবং স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। মেয়র হিসেবে তাহসীন বাহার সূচনার নাম ঘোষণার পর একাধিক কাউন্সিলরদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। তাই কাউন্সিলরদের একটি অংশ বাস প্রতীকের বিপক্ষে নীরবতা পালন করবে বলেই ধারণা ভোটারদের। সেক্ষেত্রে লাভবান হতে পারেন সাক্কু।

এ ছাড়া সংখ্যালঘুদের ভোট এবং জামায়াতের ভোট ব্যাংকও এই উপনির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জামায়াতের ভোটব্যাংক বলে পরিচিত চর্থা, শুভপুরের দিকে থাকা ভোটারদের ভোট শেষ পর্যন্ত মেয়র নির্ধারণী হয়ে উঠতে পারে।

বিশ্লেষকরা যা বলছেন

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) কেন্দ্রীয় পর্ষদ সদস্য ও সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুল হুদা জেনু বলেন, কুমিল্লার চার প্রার্থীরই ব্যক্তি পরিচয় রয়েছে। ভোটে রাজনৈতিক পরিচয় মুখ্য হলেও দুটি রাজনৈতিক ধারার একাধিক প্রার্থী থাকায় এবার প্রার্থীদের ব্যক্তিপরিচয় প্রভাব ফেলবে।

কুমিল্লার রাজনৈতিক বিশ্লেষক আহসানুল কবির বলেন, এবার চার প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। ভোটাররা নানা সমীকরণে তাদের রায় দেবেন। তবে সামগ্রিকভাবে বলা যায়, সংখ্যালঘু ভোটারদের পাশাপাশি তরুণ ভোটাররা এবারের নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে। গত নির্বাচনে মাত্র ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে জয় পরাজয় নির্ধারিত হয়েছিল। এবার ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি চ্যালেঞ্জের বিষয় হতে পারে।

সুষ্ঠু নির্বাচনে আত্মবিশ্বাসী প্রশাসন

উপনির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, সিটি করপোরেশনের ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের প্রতিটিতে পাঁচজন পুলিশ সদস্য ও ১২ জন আনসার সদস্য থাকবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল টিম কাজ করবে। প্রতি তিন ওয়ার্ডের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এরই মধ্যে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। এ ছাড়া পুরো সিটিতে ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। র‍্যাবের টিম মোতায়েন থাকবে ২৭টি, পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে ২৭টি, সাধারণ স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে দুটি।

তাহসীন বাহার সূচনা ছাড়া নির্বাচন ঘিরে তিন প্রার্থীরই অভিযোগ— তাদের কর্মীদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পথে বাধা দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য ভয় দেখানো হচ্ছে। এসব অভিযোগ বিষয়ে মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, ভোটকেন্দ্রে যেতে ভয়ভীতি দেখানোর ঘটনা ঘটে, তাৎক্ষণিক ওই ওয়ার্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটকে জানাতে হবে। আমরা পাঁচ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা নেব।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, এই সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন। এর মাঝে পুরুষ ভোটার এক লাখ ১৮ হাজার ১৮২ জন, নারী ভোটার এক লাখ ২৪ হাজার ২৭৪ জন, হিজড়া ভোটার রয়েছেন দুজন। ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে স্থায়ী ভোটকক্ষ ৬১৬টি, অস্থায়ী ভোটকক্ষ ২৪টি। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহন চলবে।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটের আগের দিন অর্থাৎ শুক্রবার (৮ মার্চ) থেকে ভোটের পরদিন অর্থাৎ ১০ মার্চ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। থাকবে ১২ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের ২৭টি দল, পুলিশের ২৭টি মোবাইল টিম, ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে দুই থানায় দুটি। ভোট নেওয়ার কাজে নিয়োজিত থাকবেন ১০৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৬৪০ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, এক হাজার ২৮০ জন পোলিং অফিসার। ভোট গ্রহণের জন্য ৯৬০টি ইভিএম মেশিন ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত মৃত্যুবরণ করেন। পরে স্থানীয় সরকার বিভাগ গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর পদটি শূন্য ঘোষণা করে। চলতি বছরের গত ২৩ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন এই উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।
সারাবাংলা/এসবি/টিআর

কুমিল্লা সিটি কুমিল্লা সিটি করপোরেশন কুসিক উপনির্বাচন টপ নিউজ তাহসীন বাহার সূচনা নিজাম উদ্দিন কায়সার নির্বাচন কমিশন নূর উর রহমান মাহমুদ মনিরুল হক সাক্কু

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর