Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জন্মদিনে কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা: তরুণ-তরুণীর যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১১ মার্চ ২০২৪ ১৭:০৭

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত মঈন ওরফে আন্নাফ। ছবি: সারাবাংলা

রাজশাহী: রাজশাহীর আলোচিত কিশোর সনি (১৬) হত্যা মামলায় দুই তরুণ-তরুণীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। হত্যার আগে সনিকে অপহরণের দায়ে আসামিদের আরও ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে রাজশাহীর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আসামিরা।

দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন— নগরীর হেতেমখাঁ সাহাজীপাড়া মহল্লার মামুনের ছেলে মঈন ওরফে আন্নাফ (২০) ও তার বান্ধবী হাবিবা কুমকুম সাবা ওরফে ঐশী (১৯)।

মামলায় মঈনের মা ও মামাও আসামি ছিলেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। মঈনের মা বিথী খাতুন রাজশাহী মহানগর মহিলা দলের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক।

নিহত সনি জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম পাখির ছেলে। ২০২২ সালের ৩ জুলাই ছিল তার জন্মদিন ছিল। সেদিন রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে তাকে হেতেমখাঁ সবজিপাড়া এলাকায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কুপিয়ে হত্যা করা হয় তাকে। এ ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সনির বাবা।

মামলার এজাহারে ঐশীর নাম ছিল না। ঘটনার পর মহিলা দলের নেত্রী বিথী তার ছেলে মঈন ও মঈনের বান্ধবী ঐশীকে নিয়ে পালিয়ে যান। ৮ জুলাই রাতে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার প্রতাপ গ্রাম থেকে এই তিনজনকে আটক করে র‍্যাব। পরে পুলিশ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এদের মধ্যে পাঁচজন অপ্রাপ্তবয়স্ক।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন, শিশু আইনে অপ্রাপ্তবয়স্ক পাঁচজনের বিচার চলছে নারী ও শিশু আদালতে। আর প্রাপ্তবয়স্ক চারজনের বিচারকাজ শেষ হলো দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে। আদালত কুপিয়ে হত্যার দায়ে প্রধান আসামি মঈন ও তার বান্ধবী ঐশীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ ছাড়া অপহরণের দায়ে আরও ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাদের। অন্য দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তারা হত্যার পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত। এ অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বিবেচনায় আদালত তাদের খালাস দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় চার আসামির সবাই হাজির ছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু আরও বলেন, আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার মতো অপরাধ করেছেন। কিন্তু তাদের বয়স কম। সে বিবেচনায় মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে তাদের কারাদণ্ড দেওয়া হলো।

এই আইনজীবী বলেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার সনিও অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিল। তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আর সাজাপ্রাপ্ত দুজনের বয়স ১৮ বছরের বেশি। তাই তাদের সর্বোচ্চ সাজা হলে খুশি হতাম। এ রায়ে খুশি হতে পারিনি।

সারাবাংলা/টিআর

কিশোরকে খুন তরুণ-তরুণীর যাবজ্জীবন রাজশাহী

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

সিটিকে সরিয়ে শীর্ষে লিভারপুল
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:২০

পদ্মায় কমেছে পানি, থামছে না ভাঙন
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:১৯

সম্পর্কিত খবর