Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গ্রামাঞ্চলে প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ৭৪ শতাংশ: বিবিএস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১২ মার্চ ২০২৪ ১৯:২৬

ঢাকা: দেশে প্রতিবন্ধীদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি। ১৫ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সী কর্মক্ষম প্রতিবন্ধীর মধ্যে ৫৩ দশমিক ৬২ শতাংশ পুরুষ, নারী রয়েছে ৪৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। অন্যদিকে, গ্রামাঞ্চলে প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ৭৪ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ ও শহরাঞ্চলে ২৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এ ছাড়া, শ্রমবাজারে প্রতিবন্ধীদের অংশগ্রহণও কাঙ্ক্ষিত নয়।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘শ্রমশক্তি জরিপের মাধ্যমে শ্রমবাজার তথ্যের উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতাধীন শ্রমশক্তি জরিপ-২০২২ এর ডাটার ভিত্তিতে আইএলও’র সহযোগিতায় এটি প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য-ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইব্রাহিম খান এবং আইএলও-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. টুমো পুটাইনেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক আজিজা রহমান এবং প্রশ্নউত্তর পর্ব পরিচালননা করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. দীপঙ্কর রায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে কৃষি খাতে নিযুক্ত আছেন সবোর্চ্চ ৫২ দশমিক ১৬ শতাংশ, এরপরে সেবায় ৩৬ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং শিল্পে ১১ দশমিক ১৩ শতাংশ। জাতীয় পর্যায়ে একজন প্রতিবন্ধী সপ্তাহে ৩৮ ঘণ্টা, শহরে ৪০ ঘণ্টা ও গ্রামীণ এলাকায় ৩৬ ঘণ্টা কাজ করেন। ১৫ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সী প্রতিবন্ধী ব্যক্তির গড় মাসিক আয় জাতীয় পর্যায়ে ১০ হাজার ৪৭০ টাকা, শহরাঞ্চলে ১১ হাজার ৫২৩ টাকা এবং গ্রামীণ এলাকায় ৯ হাজার ৪১৭ টাকা।

এ ছাড়া, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে শতকরা ২২ দশমিক ৫৪ শতাংশ শ্রমশক্তিতে অংশ নেয়। যেখানে পুরুষদের হার ৩২ দশমিক ২২ শতাংশ এবং নারীদের হার ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শাহনাজ আরেফিন বলেন, ‘প্রথমবারের মতো সার্ভের সময় কিছু নতুন তথ্য একটি নির্দিষ্ট গ্রুপকে লক্ষ্য করে করা হয়েছে। প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, প্রতিবন্ধীরা নিজেরাই নিজেদের উন্নয়নে কাজ করছে। তারা প্রাতিষ্ঠানিক খাতে কম কাজের সুযোগ পাচ্ছে। প্রতিবন্ধীদের প্রতি আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, শিক্ষার ক্ষেত্রে ১৫ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সী প্রতিবন্ধীদের মধ্যে শিক্ষিত ৩৭ দশমিক ১১ শতাংশ। আর নিরক্ষর ৬২ দশমিক ৮৯ শতাংশ। সবোর্চ্চ পাসের শ্রেণির ক্ষেত্রে প্রাথমিক শেষ করেছেন ১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ প্রতিবন্ধী, যা উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে আরও কম। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ নিয়েছে শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ এবং এদের মধ্যে পুরুষ শূন্য দশমিক ২৮ শতাংশ এবং নারী শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে সবোর্চ্চ ৩০ দশমিক ৩৩ শতাংশ এক থেকে তিন মাসের জন্য প্রশিক্ষণ নেন। এরপরে ২২ দশমিক ১৪ শতাংশ এক সপ্তাহের কম এবং ১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ তিন থেকে ৪ সপ্তাহের জন্য প্রশিক্ষণ পায়।

অনুষ্ঠানে আর ও জানানো হয়, জাতীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষণের ধরণ অনুযায়ী ২০ দশমিক ৮৭ শতাংশ কৃষি ফসল উৎপাদন এবং সংরক্ষণের প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এছাড়া ১৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ তৈরি পোশাকে এবং ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ বিদেশি ভাষায় প্রশিক্ষণ নিয়েছে। আর ১৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ তৈরি পোশাক ও ১৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ কম্পিউটারে প্রশিক্ষণ নিয়েছে।

জানা গেছে, প্রতিবন্ধী জনসংখ্যার মধ্যে বেকারত্বের হার জাতীয় পর্যায়ে এক দশমিক ৬৩ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষরা এক দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং নারীরা এক দশমিক ৯৩ শতাংশ।

সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম

টপ নিউজ প্রতিবন্ধী বিবিএস


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার শাজাহান খান
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪৫

সম্পর্কিত খবর