উচ্চফলনশীল নতুন জাতের আলু চাষের আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
১৭ মার্চ ২০২৪ ১৮:৫০
ঢাকা: উৎপাদন বাড়াতে উচ্চফলনশীল নতুন জাতের আলু চাষের আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। তিনি বলেন, আমাদের দেশে চাষাবাদে থাকা বর্তমান জাতগুলো অনেক পুরনো হয়ে গেছে ও ফলন কম। তাছাড়া বর্তমানে সরিষা, ভুট্টা ও বোরো আবাদ বাড়ার কারণে আলুর আবাদ কম হচ্ছে। ফলে আলুতে কিছুটা ঘাটতি হচ্ছে। এ অবস্থায় নতুন উচ্চ ফলনশীল জাতগুলো চাষ করতে হবে। এতে কম জমিতেও প্রয়োজনীয় আলু উৎপাদন করা যাবে এবং রফতানি করাও সম্ভব হবে।
রোববার (১৭ মার্চ) বিকেলে শ্রীমঙ্গল উপজেলার পারেরটং গ্রামে বিএডিসি আলু-১ বা সানশাইন জাতের আলুর মাঠ পরিদর্শন ও চাষীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আলু বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল। বাংলাদেশে ৪ লাখ ৫৬ হাজার হেক্টর জমিতে মোট ১ কোটি ৪ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়। ফলন গড়ে হেক্টরপ্রতি প্রায় ২৩ টন।’
মানসম্পন্ন বীজআলু উৎপাদন ও সংরক্ষণ এবং কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোরদারকরণ প্রকল্পের পরিচালক আবীর হোসেন জানান, এ প্রকল্পের আওতায় বিএডিসির খামারে বিগত তিন বছরে ট্রায়ালে আলুর জীবনকাল, ফলন, শুষ্ক পদার্থের পরিমাণ, পুষ্টিগুণ ও দেশীয় আবহাওয়ায় চাষাবাদের উপযোগিতা বিচারে উৎকৃষ্ট মানের ১৪ জাতের আলু কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বিএডিসি’র নামে নিবন্ধন করা হয়।
তিনি জানান, এর মধ্যে বিএডিসি আলু-১ (সানসাইন), বিএডিসি আলু-৬ (কুমবিকা), বিএডিসি আলু-৭ (কুইনএ্যানি), বিএডিসি আলু-১২ (রাশিদা) আগাম এবং রফতানি উপযোগী জাত। যার হেক্টর প্রতি গড় ফলন ৪০ মেট্টিক টনের উপরে।
ব্যাপক চাহিদার প্রেক্ষাপটে বিএডিসি গতবছর ৪ হাজার ২০০ টন সানসাইন জাতের বীজআলু চাষিদের মধ্যে বিতরণ করেছে। এ বছর সেটা দ্বিগুণ অর্থাৎ ৮ হাজার মেট্রিক টন সরবরাহের জন্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে প্রকল্প পরিচালক জানান।
অনুষ্ঠানে বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, সদস্য পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক উম্মে ফারজানা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তালেব প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম