Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

২০২৩ সালে বায়ুদূষণে শীর্ষে বাংলাদেশ-পাকিস্তান-ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৯ মার্চ ২০২৪ ১৫:৫৬

বায়ু দূষণ [ফাইল ছবি]

বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। সুইজারল্যান্ডের বায়ুমান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য বলছে, গত বছর আমাদের দেশেই সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ হয়েছে। এই তালিকায় দ্বিতীয় শীর্ষ দেশের নাম পাকিস্তান। সর্বোচ্চ বায়ুদূষণে তৃতীয় স্থানেই রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত।

বায়ুদূষণ নিয়ে আইকিউএয়ার প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট-২০২৩’ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, শীর্ষে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি দেশেই ২০২৩ সালে বাতাসে ভেসে বেড়ানো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ক্ষুদ্র বস্তুকণা ফাইন পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম২.৫-এর পরিমাণ ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশিত মানের প্রায় ১০ গুণেরও বেশি।

বিজ্ঞাপন

ডব্লিউএইচওর তথ্য বলছে, সুস্থ ও স্বাভাবিক পরিমাণ হিসেবে বাতাসে পিএম২.৫-এর গ্রহণযোগ্য মাত্রা সর্বোচ্চ ৫ মাইক্রোগ্রাম। ২০২৩ সালে বাংলাদেশের বাতাসে এর গড় ঘনত্ব ছিল ঘনমিটারে ৭৯ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রাম, পাকিস্তানে ৭৩ দশমিক ৭ মাইক্রোগ্রাম ও ভারতে ৫৪ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম।

এদিকে বায়ুদূষণে শীর্ষ প্রথম ৪০টি শহরের মধ্যে ৩৫টিই ভারতের। তালিকার প্রথম পাঁচটি শহর হলো ভারতের বেগুসারাই, গুয়াহাটি, দিল্লি ও মুলানপুর এবং পাকিস্তানের লাহোর। এই তালিকায় ঢাকার অবস্থান ২৪-এ। শীর্ষ ৪০-এ ভারতের বাইরে অন্য দেশের বাকি শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের ফয়সালাবাদ (১২), চীনের হোতান (১৩) ও পাকিস্তানের পেশোয়ার (৩৪)। সে হিসাবে বায়ুদূষণে শীর্ষ রাজধানী ভারতের দিল্লি, দ্বিতীয় অবস্থানেই ঢাকা।

বিজ্ঞাপন

২০২২ সালে বায়ুদূষণের এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল পঞ্চম। ভারতের অবস্থান ছিল অষ্টম। এবারে বাংলাদেশ প্রথম ও ভারত তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। তবে পাকিস্তান আগের বছরেও এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানেই ছিল। ২০২২ সালে বায়ুদূষণে শীর্ষ তিন দেশের মধ্যে শাদ থেকে এবার পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়নি, আর ইরান তালিকা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

আইকিউএয়ারের বায়ুমানবিষয়ক বিজ্ঞান ব্যবস্থাপক ক্রিস্টি চেস্টার শ্রোডার বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার ভৌগলিক অবস্থা ও জলবায়ুর ধরনের কারণেই পিএম২.৫ ঘনত্বের ধারাটি ঊর্ধ্বমুখী। কারণ এখানকার দূষণের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। এখানকার কৃষি থেকে শুরু করে শিল্প কারখানা ও জনসংখ্যার ঘনত্বও এর পেছনে ভূমিকা রাখছে। ক্রমেই এই ধারাটি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে, যা দুর্ভাগ্যজনক।

বিশ্বের ১৩৪টি দেশ ও অঞ্চলের ৩০ হাজারেরও বেশি পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মাধ্যমে সংগ্রহ করা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আইকিউএয়ার প্রতিবেদনটি তৈরি করে থাকে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে কেবল অস্ট্রেলিয়া, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, গ্রেনাডা, আইসল্যান্ড, মরিশাস ও নিউজিল্যান্ডই পিএম২.৫ ঘনত্বের মানের দিক থেকে ডব্লিউএইচও নির্ধারিত গ্রহণযোগ্য মান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

সারাবাংলা/টিআর

আইকিউএয়ার ডব্লিউএইচও পিএম২.৫ বায়ুদূষণ বায়ুমান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর