চট্টগ্রামে সোনা চোরাচালানির যাবজ্জীবন সাজা
২০ মার্চ ২০২৪ ১৪:১১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ১০ বছর আগে অবৈধ পথে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার সোনা নিয়ে আসার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। একই রায়ে আদালত তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
বুধবার (২০ মার্চ) চট্টগ্রাম মহানগর স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল নম্বর-১ এর বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছা এ রায় দিয়েছেন।
দণ্ডিত মাওলানা বেলাল উদ্দিনের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের মাদরাসাপাড়া গ্রামে। এক দশক আগে র্যাবের একটি টিম তাকে চোরাচালানের সোনাসহ গ্রেফতার করলেও জামিনে বেরিয়ে বর্তমানে পলাতক আছেন বলে জানিয়েছেন আদালতের কর্মকর্তা দীপেন দাশগুপ্ত।
মামলার নথিপত্রে উল্লেখ আছে, ২০১৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর রাতে র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের একটি টিম বেলালকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবেশমুখ থেকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে ১১৫টি সোনার বার ও গহনাসহ ১৭৫ গ্রাম সোনা জব্দ করা হয়। এর বাজারমূল্য সেসময়ের দাম অনুযায়ী ৫ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৫ টাকা বলে এজাহারে উল্লেখ আছে।
অবৈধভাবে এসব সোনা দুবাই থেকে নিয়ে চট্টগ্রামে এসেছিলেন বেলাল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের টিম তাকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছিলেন, দুবাই প্রবাসী মহিউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি তাকে সোনাগুলো বিমানবন্দর পার করার দায়িত্ব দিয়েছিল।
পরদিন র্যাব-৭ এর উপ-সহকারি পরিচালক (ডিএডি) মো. তফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে নগরীর পতেঙ্গা থানায় মাওলানা বেলালের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের কর্মকর্তা দীপেন দাশগুপ্ত সারাবাংলাকে জানান, গ্রেফতার বেলাল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে দায় স্বীকার করেছিলেন। তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দাখিল করলে ২০১৬ সালে মামলাটি বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা হয়। বেলালের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (১) ধারার (বি) উপ-ধারায় অভিযোগ গঠনের পর রাষ্ট্রপক্ষে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
পলাতক আসামি বেলালের বিরুদ্ধে আদালত সাজা পরোয়ানা জারির নির্দেশনা দিয়েছেন বলে এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
সারাবাংলা/আরডি/ইআ