‘রমজানের অজুহাতে’ ফের ফুটপাত-সড়ক দখল ঠেকাল চসিক
২০ মার্চ ২০২৪ ২০:১৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট মোড় থেকে আশপাশের এলাকায় সড়ক ও ফুটপাত পুনর্দখল ঠেকাতে অভিযান করেছে সিটি করপোরেশন। এসময় বেশ কয়েকটি অস্থায়ী স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়।
চসিকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি দখলমুক্ত করা সড়ক ও ফুটপাত রমজানের অজুহাতে আবারও দখলে নিয়ে দোকান বসাতে শুরু করেছিলেন হকাররা।
বুধবার (২০ মার্চ) সকালে চসিকের একটি টিম অভিযান চালিয়ে হকারদের সরিয়ে দিয়ে আবারও নিউমার্কেট থেকে পুরাতন রেলস্টেশন পর্যন্ত এলাকার সড়ক-ফুটপাত দখলমুক্ত করে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া চসিকের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন জানিয়েছেন, অন্তঃত শ’খানেক অস্থায়ী চৌকি-কাঠের টুলসহ ভ্রাম্যমাণ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। সড়ক-ফুটপাত দখলে রাখা হকারদের সরিয়ে তাদের কিছু মালামাল জব্দ করা হয়েছে।
চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম, চৈতী সর্ববিদ্যা ও শাহরীন ফেরদৌসী এবং র্যাব-পুলিশের দুইশ’র বেশি সদস্য অভিযানে অংশ নেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি নগরীর নিউমার্কেট মোড় থেকে নতুন রেলস্টেশন, রিয়াজউদ্দিন বাজার, পুরাতন রেলস্টেশন, ফলমণ্ডি, তামাকমুণ্ডি লেইন ও আমতলসহ প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা থেকে হাজারেরও বেশি হকার উচ্ছেদ করে সিটি করপোরেশন। এসব এলাকার ফুটপাত থেকে সড়কের একাংশ দখলে নিয়ে এসব হকার পোশাক, মোবাইল, জুতা, তৈরি খাবারসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে আসছিল। ফুটপাত ও সড়ক দখল করে এসব অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের কারণে এসব এলাকায় নিয়মিত যানজট লেগে থাকতো।
উচ্ছেদ অভিযানের সময় হকাররা বিক্ষোভ করেছিলেন। পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ নিয়ে হকাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। পরদিন হকারদের কেউ কেউ আবারও বসতে চাইলে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা গিয়ে তাদের সরিয়ে দেন। এরপরও হকাররা সড়ক ও ফুটপাতের বিভিন্ন অংশ দখলে নিতে শুরু করলে ১২ ফেব্রুয়ারি ফের অভিযান চালায় সিটি করপোরেশন। এসময় হকারদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভাংচুর করা হয় সিটি করপোরেশনের যানবাহন। পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় হকারদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এ অবস্থায় উচ্ছেদ হওয়া হকারদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের পুনর্বাসনের দাবি তোলেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। হকাররাও ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি হাজারখানেক হকার মিছিল নিয়ে মেয়রের কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিতে যান। তবে মেয়র তাদের দেখা দেননি। স্মারকলিপিতে হকাররা রমজানে তাদের ফুটপাতে ব্যবসা করতে দেয়ার দাবি জানান।
তবে অনুমতি না পেলেও রমজানের শুরু থেকেই হকাররা আবারও সড়ক-ফুটপাত দখল করে অস্থায়ী দোকান বসাতে শুরু করেন।
সারাবাংলা/আরডি/এনইউ