নববর্ষে পরা যাবে না মুখোশ, বাঁশি না বাজানোর অনুরোধ
২৪ মার্চ ২০২৪ ২১:৩৭ | আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৪ ২৩:০৭
ঢাকা: এবারের পহেলা বৈশাখ উদযাপনে পরা যাবে না কোনো ধরনের মুখোশ। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের তৈরি করা মুখোশ প্রদর্শন করা যাবে। এ ছাড়া, এই দিনে ক্যাম্পাসে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো ও বিক্রি থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সুষ্ঠুভাবে নববর্ষ উদযাপনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির পাশাপাশি আরও দুইটি উপ-কমিটি গঠন করেছে।
রোববার (২৪ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ‘বাংলা নববর্ষ-১৪৩১’ উদযাপনে প্রস্তুতি সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এসব তথ্য জানান। সভায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নববর্ষ উদ্যাপনের জন্য উপাচার্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলা নববর্ষ উদযাপনের কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদকে আহ্বায়ক করে নয় সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনকে।
এ ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যবিশিষ্ট শৃঙ্খলা উপ-কমিটি এবং চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনকে সভাপতি করে ৩২-সদস্যবিশিষ্ট মঙ্গল শোভাযাত্রা উপ-কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গল শোভাযাত্রা প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’ প্রতিপাদ্যে এ বছর মঙ্গল শোভাযাত্রা চারুকলা অনুষদ থেকে সকাল ৯টায় বের করা হবে। শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড় হয়ে শিশুপার্কের সামনে থেকে ঘুরে ফের শাহবাগ হয়ে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে গিয়ে শেষ হবে।
এ ছাড়া, যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নববর্ষের আগের দিন ১৩ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যা ৭টার পর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না।
নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের যানবাহন চালানো যাবে না এবং মোটরসাইকেল চালানো সম্পূর্ণ নিষেধ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসবাসরত কোনো ব্যক্তি নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাতায়াতের জন্য শুধুমাত্র নীলক্ষেত মোড় ও পলাশী মোড়সংলগ্ন গেইট ব্যবহার করতে পারবেন।
নববর্ষের দিন অনুষ্ঠান আয়োজন এবং দর্শনার্থীদের প্রবেশ-প্রস্থান প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ক্যাম্পাসে নববর্ষের দিন সব ধরনের অনুষ্ঠান বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। এদিন ক্যাম্পাসে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে। ৫টার পর কোনোভাবেই প্রবেশ করা যাবে না, শুধু বের হওয়া যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নববর্ষের দিন ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনের রাজু ভাস্কর্যের পেছনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগত ব্যক্তিরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের জন্য চারুকলা অনুষদের সামনে ছবির হাটের গেইট, বাংলা একাডেমির সামনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেইট ব্যবহার করতে পারবেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে প্রস্থানের পথ হিসেবে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেইট, রমনা কালী মন্দির সংলগ্ন গেইট ও বাংলা একাডেমির সামনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট ব্যবহার করা যাবে।
আজকের সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার প্রমুখ।
সারাবাংলা/আরআইআর/পিটিএম