Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পেঁয়াজের দাম ‘একটু একটু বাড়ছে,’ অন্য পণ্য কমতির দিকে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৫ মার্চ ২০২৪ ১৯:০৯

ঢাকা: রোজার শুরুতে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম ছিল লাগামহীন। লেবু, কলা, শসা, টমেটো থেকে শুরু করে চাল-ডাল এমনকি মাংসের দাম ছিল চড়া। তবে এই অবস্থা ক্রেতাদের অনুকূলে আসতে শুরু করেছে। মাঝ রোজা থেকে দরদাম কমতে শুরু করেছে। এরইমধ্যে ভারত পেঁয়াজ রফতানিতে অনির্দিষ্টকাল নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ব্যবসায়ী-ক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজের দাম একটু একটু করে বাড়ছে। তবে আশার খবর হলো, এটি বেশিদিন স্থায়ী হবে না।

দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে এবার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাজারে থাকা পেঁয়াজের দাম কমতে পারে। কৃষিবিদ ও বাজার বিশ্লেষকরা এমন কথাই জানিয়েছেন।

সোমবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, কোথাও কোথাও বাজারে পেঁয়াজ আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। পাইকারিতে ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরায় ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে। আবার কোথাও দাম একটু বাড়তি। যদিও দেশে পেঁয়াজের কেজি খুচরায়ও ৫০ টাকায় নেমে এসেছিল।

এদিন রাজধানীর মহাখালীর বউবাজারে দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৭০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেখা গেছে, পাইকারি ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া প্রতি পাল্লা (পাঁচ কেজি) পেঁয়াজ ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এই বাজারের মেসার্স মাতৃভাণ্ডার নামের আড়তের কালাম শেখ সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাজারে প্রচুর দেশি পেঁয়াজ রয়েছে। আমরা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি। ভারত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কি, দিয়েছেনা- তা নিয়ে ভাবছি না। এগুলো নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই।’

শ্যামবাজারের পেঁয়াজ ব্যাবসায়ী হাজী মাজেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ৫২ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি। দেশি পেঁয়াজ মোটামুটি আছে, ভালোই আছে। পেঁয়াজের দাম আরও কমার কথা ছিল, কিন্তু কমেনি। বরং একটু একটু বাড়ছে।’

তিনি জানান, ৩ থেকে ৪ দিন আগেও পাইকারিতে পেঁয়াজের কেজি ৪০ থেকে ৪২ টাকায় নেমে এসেছিল। যেহেতু ভারত রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাই ছোট ছোট পাইকার ও কৃষকরা এখন আর পেঁয়াজ বিক্রি করতে চাচ্ছে না। ফলে বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।

এদিকে, কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শশা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও টমেটো ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। রোজার প্রধান এই তিনটি পণ্যের দামই বাজারে কমেছে। ব্রয়লার মুরগির দামও কিছুটা কমেছে। ২৩০ টাকা কেজিতে উঠা ব্রয়লার মুরগি এখন ২১৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর পাকিস্তানি মুরগি ৩৩০ টাকা ও দেশি মুরগি ৬৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে তরমুজের দামও কিছুটা কমেছে। কারওয়ান বাজারে তরমুজ বিক্রিতাদের হাকডাকও নজর কাড়ছে না ক্রেতাদের। রোজার প্রথম দিকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া তরমুজ এখন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর প্রকারভেদে প্রতি পিস তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়।

সারাবাংলা/ইএইচটি/একে

আমদানি পেঁয়াজ বাজার দর রফতানি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার শাজাহান খান
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪৫

সম্পর্কিত খবর