‘ড. ইউনূস ট্রি অব পিস পাননি, প্রতারণার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে’
২৭ মার্চ ২০২৪ ১৩:৫৮
ঢাকা: শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পেয়েছেন বলে যে তথ্য গণমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে তা সত্য নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ইউনেস্কোর নয়, ড. ইউনূস ইসরাইলের একজন ভাস্কর শিল্পীর সম্মাননা পেয়েছেন।’
একজন দণ্ডিত ব্যক্তিকে সম্মাননা দেওয়া আইনের শাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি ইউনেস্কোর সদর দফতরে জানানো হবে।’
বুধবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটা সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো একটি পুরস্কার দিয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে ইউনেস্কোর সদর দফতরে যোগাযোগ করেছি। তারা নিশ্চিত করেছে ইউনেস্কো ড. মুহম্মদ ইউনূসকে এ ধরনের কোনো সম্মাননা দেয়নি তিনি আজারাবাইজানের রাজধানী বাকুতে গজনবী ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থার আমন্ত্রণে গিয়েছিলেন। সেখানে ইসরাইলি ভাস্কর্য শিল্পি মিস হেধবাসাহ্ একটি সম্মাননা স্মারক ড. ইউনূসকে দিয়েছেন। এটা ইউনেস্কোর কোনো সম্মাননা বা পুরস্কার নয়।’
আমরা ইউনেস্কোর কাছে একটা ব্যাখ্যা পাঠাবো ইউনূস সেন্টার ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বরাত দিয়ে যে সম্মাননার কথা বলা হচ্ছে যা গণমাধ্যম প্রচার করছে তা প্রতারলামূলক ও মিথ্যা। এক ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য ইউনেস্কোর নাম ব্যবহার করা হচ্ছে। একজন ইসরাইলি ভাস্করের দেওয়া সম্মাননা ইউনেস্কোর বলে প্রচার করছেন, এটা এক ধরনের শঠতাও। এখন পর্যন্ত ইউনূস সেন্টারের ইউনেস্কো প্রদত্ত পুরস্কার হিসেবে দেখানো হচ্ছে।’
বাংলাদেশ ইউনেস্কোর সদস্য রাষ্ট্র উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইউনেস্কোর সদর দফতরকে একটা চিঠি লিখে অবগত করবো যে, ড. ইউনূস ইউনেস্কোর নাম নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে যেটা অনৈতিক ও অপরাধমূলক। এটা আমাদের দেশের জন্য মানহানিকর। পাশাপাশি এটাও বলবো যে তিনি শ্রম আইন লঙ্ঘনের জন্য দণ্ডিত হয়েছেন। একজন দণ্ডিত ব্যক্তি ইউনেস্কোর নাম নিয়ে যে অপপ্রচার করছেন এটা থেকে ইউনেস্কোর সতর্ক থাকা প্রয়োজন মনে করি। পাশাপাশি আমরা ইউনূস সেন্টারকেও অনুরোধ করবো, এ ধরনের ভয়াবহ প্রচারণা থেকে যেন বিরত থাকে, তা না হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘শ্রম আইন লঙ্ঘনের জন্য তিনি দণ্ডিত হয়েছেন। আয়কর আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে এনবিআরে মামলা চলছে সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে তিনি একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। দণ্ড বহাল থাকা অবস্থায় কোনো সম্মাননা পুরস্কার দিলে আইনের শাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। আইনজীবীর সঙ্গে আলাপ করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/জেআর/এমও