কর্তৃপক্ষের ভুলে বাড়তি ফি’র বোঝা, ক্ষুব্ধ ইবির শিক্ষার্থীরা
২৯ মার্চ ২০২৪ ০৯:০০
ইবি: স্নাতক শেষে সব ফি পরিশোধ করে সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট, নম্বরপত্র, ফল প্রকাশের তারিখের সনদ উত্তোলন করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। ফি দেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতর এসব কাগজপত্র দিয়ে থাকেন। তবে বিপত্তি বাঁধে শিক্ষার্থীদের ফল সংশোধন হলে।
কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এই ভুল হয়ে থাকে বলে অভিযোগ আছে। তবে ভুল কর্তৃপক্ষের হলেও এ দায় চাপে শিক্ষার্থীদের কাঁধে। ফল পরিবর্তন হলে পুনরায় সব ফি পরিশোধ করে কাগজপত্র তুলতে হয়। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাঝেমধ্যে এমন ফলাফল সংশোধন হয়ে থাকে। সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট, নম্বরপত্র, ফল প্রকাশের তারিখের সনদ উত্তোলন করতে প্রায় এক হাজার টাকা দিতে হয় শিক্ষার্থীকে। আর ফল সংশোধনের বিষয়ে শিক্ষার্থীর কোনো ধারণাই থাকে না। যার কারণে ফল প্রকাশের পরপরই শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উত্তোলন করেন। এর একমাস পর ফলাফল সংশোধিত হয়। ফলে শিক্ষার্থীকে পুনরায় কাগজপত্র তুলতে বাধ্য হয়ে ফি দিতে হয়।
সম্প্রতি আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণির চূড়ান্ত ফলাফলের ক্ষেত্রে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়াও প্রায়শই এমন ফলাফল সংশোধন হয়ে থাকে বলে জানা গেছে। আর এর ফলে বাড়তি ফি প্রদান করে পুনরায় সনদপত্র উত্তোলন করতে হয় শিক্ষার্থীদের।
আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী দিদারুল ইসলাম বলেন, কাগজপত্র তোলার পর রেজাল্ট সংশোধন হলে আবার টাকা দিতে হয়। এতে অতিরিক্ত খরচসহ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আমাদের। কর্তৃপক্ষে ভুলের কারণে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আবার সেই ভুলের দায় আমাদের ওপরই চাপানো হচ্ছে। এটি শিক্ষার্থীদের প্রতি অন্যায়।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, বিভাগ থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরের কাছে ভুল ফলাফল পাঠানো হলে তা পরখ করে দেখা এই দফতরের দায়িত্ব। ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর কোনো ভুলের কারণে ফলাফল সংশোধন হলে সে দায়ও আমাদের ওপরই বর্তায়। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো অবস্থাতেই দ্বিতীয়বার ফি নেওয়া উচিত নয়।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ফলাফল সংশোধন হলে পুনরায় নরমাল ফি দিয়ে সনদপত্র উত্তোলন করতে হবে। আগে থেকেই এভাবে ফি দিয়ে দ্বিতীয়বার সনদপত্র উত্তোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে ফি না দিয়ে সনদ উত্তোলনের কোন সুযোগ নেই।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, আইনে কোথাও এ বিষয়ে কিছু বলা নেই। তবে শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে আবেদন করলে বিষয়টি ভেবে দেখব।
সারাবাংলা/এনইউ