পশ্চিম রেলে বড় অনিয়ম, ৩৩৮ টাকার ময়লার ঝুড়ি ১৩ হাজার টাকা!
২৮ মার্চ ২০২৪ ২১:৫৮ | আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪ ১২:১৪
রাজশাহী: ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পশ্চিমাঞ্চল রেলের কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগে হানা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাজশাহীতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সদর দফতরে অভিযান চালিয়েছে সংস্থাটি। এ সময় তারা ৩৩৮ টাকার ময়লার ঝুড়ি ১৩ হাজার টাকায় কেনার প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল রাজশাহী রেলভবনে অভিযান চালায়। এ সময় ক্রয়সংক্রান্ত বেশকিছু নথিপত্রের ফটোকপি নিয়ে যায় দুদকের এই দল।
ময়লা ফেলার একটি ঝুড়ি কেনার কথা ছিল ৩৩৮ টাকায়। কিন্তু কেনা হয় ১৩ হাজার টাকায়। ৪৮৬ টাকার প্রতিটি হ্যাকসো ফ্রেম কেনা হয় ৩ হাজার ৪৫০ টাকায়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে কেনাকাটায় এমন ভয়াবহ দুর্নীতি করে বিপুল টাকা লুটে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ পায় দুদক।
দুদক কর্মকর্তারা পশ্চিম রেলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদারের কক্ষে প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান করেন। এরপর কিছু কাগজপত্র নিয়ে চলে যান।
দুদক জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পশ্চিম রেলের কেনাকাটায় বড় দুর্নীতি হয়েছে। নিরীক্ষায় এসব দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কিছু কর্মকর্তাকে বিভাগীয় শাস্তিও দিয়েছে। এর সূত্র ধরেই দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে তারা অনুসন্ধান শুরু করেছেন। অনুসন্ধান শেষে দুদকে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। তারপর যে নির্দেশনা আসবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভিন্ন কেনাকাটায় কয়েক’শ কোটি টাকার দুর্নীতির চিত্র উঠে আসে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের নিরীক্ষায়। রেল কর্তৃপক্ষ এসব অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি করতে পারেনি। দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অবসরে যাওয়া কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার পেনশনসহ যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করা হয়নি।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘কেনাকাটার ক্ষেত্রে নিয়মবহির্ভূত কিছু হয়েছে কি না, দুদক সেই তদন্তে এসেছে। আমরা তাদের চাহিদামতো কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি। যেসব কাগজপত্র তাৎক্ষণিক দেওয়া যায়নি, সেগুলো রোববার দেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/পিটিএম