Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পাকিস্তানে লাগামহীন সন্ত্রাসবাদ: মারাত্মক ঝুঁকিতে চীনা বিনিয়োগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৯ মার্চ ২০২৪ ১৯:৩০

১৬ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ— ১০ দিনে পাকিস্তানে পাঁচটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে তিনটি ঘটেছে দেশটির উত্তর-পশ্চিম খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে। দুটি ঘটেছে দক্ষিণ-পশ্চিম বেলুচিস্তান প্রদেশে। এসব হামলায় কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন।

পাঁচটি হামলাই ছিল আত্মঘাতী বোমা হামলা। নিহতদের মধ্যে ১২ জন সামরিক বাহিনীর সদস্য, পাঁচজন চীনা নাগরিক এবং একজন পাকিস্তানি নাগরিক। পাকিস্তানে গত বছর থেকে সন্ত্রাসী হামলা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সিরিজ হামলার লক্ষ্যবস্তু ও তীব্রতা দেখে বিশ্লেষকরা বলছেন, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের লড়াইয়ে একটি নতুন অধ্যায়ের ইঙ্গিত এটি।

শেষ তিনটি হামলা পরপর এত দ্রুত ঘটেছে যে, মনে হচ্ছে পাকিস্তানে চীনা স্বার্থকে বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। প্রথমে সশস্ত্র যোদ্ধারা পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে গোয়াদর বন্দরে হামলা চালায়। এই বন্দরটি চীনের সহায়তায় নির্মাণ করা হয়েছিল। তারপরে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী বেলুচিস্তান প্রদেশে পাকিস্তানের বৃহত্তম নৌ ঘাঁটিগুলোর একটিতে আক্রমণ করে। সবশেষ আক্রমণ হয় দেশটির উত্তরে বেশাম শহরের কাছে একটি চীনা-অর্থায়নকৃত জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত চীনা প্রকৌশলীদের লক্ষ্য করে। এসব হামলা থেকে মনে করা হচ্ছে, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো পাকিস্তানে চীনা বিনিয়োগের প্রতি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং সশস্ত্র গোষ্ঠী গবেষক ইফতিখার ফিরদৌস বলেন, ‘হামলার এই প্যাটার্নটি পাকিস্তানের নিরাপত্তা সংস্থায় উদ্বেগ বাড়িয়েছে। তারা বিশ্বাস করে, পাকিস্তানে চীনাদের উপর হামলা দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ।’

‘লৌহ ভ্রাতৃত্ব’

পাকিস্তানের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্রদের একটি চীন । চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে (সিপিইসি) ৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে বেইজিং। সিপিইসি অবকাঠামো প্রকল্প হলো দক্ষিণ-পশ্চিম চীনকে আরব সাগরের গোয়াদর বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য হাইওয়ের বিস্তৃত একটি নেটওয়ার্ক।

চীনা শ্রমিকদের উপর লাগাতার হামলায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে বেইজিং। বুধবার (২৭ মার্চ) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘পাকিস্তানকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করতে, অপরাধীদের খুঁজে বের করতে এবং তাদের বিচারের আওতায় আনতে বলেছে চীন। আমরা পাকিস্তানকে চীনা নাগরিক, প্রতিষ্ঠান এবং প্রকল্পের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছি।’

জবাবে পাকিস্তান সরকার বলেছে, তারা সন্ত্রাসবাদী এবং সন্ত্রাসে সহায়তাকারী ও প্ররোচনাকারীদের বিচারের আওতায় আনবে। হামলার আরও তদন্তের জন্য একটি তদন্ত দল গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এর একদিন পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক বিবৃতি বলা হয়, ‘পাকিস্তান ও চীন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দুই দেশের মধ্যে বিরাজ করছে লৌহ কঠিন ভাতৃত্ব। বেশাম সন্ত্রাসী হামলা পাকিস্তান-চীন বন্ধুত্বের শত্রুদের দ্বারা সংগঠিত হয়েছে—এতে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে এ জাতীয় সমস্ত শক্তির বিরুদ্ধে কাজ করব এবং তাদের পরাজিত করব।’

পাকিস্তানে অতীতেও বারবার চীনা স্বার্থের ওপর হামলা হয়েছে। দুই বন্দুকধারী গত বছরের আগস্টে গোয়াদরে ২৩ জন চীনা প্রকৌশলীর একটি বহরে হামলার চেষ্টা করে। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা হামলাটি ব্যর্থ করে দেয়।

২৬ মার্চের মতোই একটি ঘটনা ঘটেছিল ২০২১ সালের জুলাই মাসে। ওই হামলায় একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত কমপক্ষে নয়জন চীনা প্রকৌশলী নিহত হন। আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীকে বহন করা একটি গাড়ি প্রকৌশলীদের বাসে ধাক্কা দিয়েছিল।

তবে দুটি হামলার মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে তা হলো—বেলুচিস্তানের ঘটনাগুলোর পর বিদ্রোহী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো সহজেই দায় স্বীকার করেছে। কিন্তু খাইবার পাখতুনখোয়ায় হামলার দায় কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি।

সশস্ত্র হামলার বিস্তৃত ধরন

বেলুচিস্তানে হামলার দায় স্বীকার করেছে বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) সামরিক শাখা। পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাওয়া অনেক কট্টরপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে বিএলএ একটি।

আয়তনের দিক থেকে বেলুচিস্তান পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ। এটি পাকিস্তানের দরিদ্রতম প্রদেশও বটে। যদিও প্রদেশটি তেল, কয়লা, সোনা, তামা এবং গ্যাসের মজুতসহ প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। বেলুচদের অভিযোগ, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারগুলো ধারাবাহিকভাবে প্রদেশটিকে শোষণ করে আসছে। পাকিস্তানে বিদেশিদের খুশি রাখতে বেলুচিস্তান প্রদেশই বেছে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রদেশটির স্বার্থ ও বাসিন্দাদের উদ্বেগ বরাবরই উপেক্ষিত থাকছে।

প্রদেশটি ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান গঠনের পর থেকে অন্তত পাঁচটি বিদ্রোহ আন্দোলনের সাক্ষী হয়েছে। বিভিন্ন সময় সরকার জাতিগত বেলুচদের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক ক্র্যাকডাউন চালিয়েছে। হাজার হাজার জাতিগত বালুচকে হত্যা ও গুম করার অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে।

গত দুই বছরে দেশটিতে সহিংস ঘটনা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়েছে। ২০২১ সালের আগস্টে প্রতিবেশি আফগানিস্তানে তালেবানরা ক্ষমতায় ফেরার পর পাকিস্তানে সহিংসতা বেড়ে গেছে। ২০২৩ সালে পাকিস্তানে ৬৫০টিরও বেশি হামলায় প্রায় এক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জড়িত।

হামলা চালানো গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসলামিক স্টেটের আঞ্চলিক সহযোগী, যারা খোরাসান প্রদেশের ইসলামিক স্টেট (আইএসকেপি বা আইসিসি-কে) নামে পরিচিত। এছাড়া তেহরিক-ই-জিহাদ পাকিস্তান (টিজেপি) এর মতো আরও কয়েকটি সংগঠনও বেশ কয়েকটি হামলার সঙ্গে জড়িত বলে দায় স্বীকার করেছে।

তবে পাকিস্তান রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। ২০০৭ সালে গঠিত সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বেসামরিকদের পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই সংগঠনটি পাকিস্তানে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়েছে।

টিটিপির হুমকি

মতাদর্শগতভাবে আফগান তালেবানের অনুসারী পাকিস্তানের তালেবান বা টিটিপি। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম উপজাতীয় অঞ্চলগুলোকে একীভূত করা হয়েছিল ২০১৮ সালে। টিটিপি এই একীভূতকরণের বিরুধি। তারা একীভূতকরণ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি করে আসছে। এই অঞ্চলের আইনে ইসলামী আইনের কঠোরতম ব্যাখ্যাগুলো আরোপের দাবিও করে থাকে তারা।

পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল টিটিপির। কিন্তু ২০২২ সালের নভেম্বরে একতরফাভাবে চুক্তিটি থেকে বেরিয়ে যায় টিটিপি। এর পর তারা পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর উপর আক্রমণ ত্বরান্বিত করে। সেই টিটিপিও চলতি মাসে বেশাম শহরে হামলার পর একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, হামলায় তাদের সম্পৃক্ততা নেই।

স্বাধীন গবেষণা প্ল্যাটফর্ম দ্য খোরাসান ডায়েরির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ফিরদৌস আল জাজিরাকে বলেন, ‘এটি (হামলার দায় স্বীকার না করা) ধর্মীয়ভাবে অনুপ্রাণিত সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততার দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে। এসব সংগঠন বা ব্যক্তি কোনো প্রতিষ্ঠিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা প্রকাশ্যে ঘোষণা করে না। এদের ফ্রিল্যান্সার জিহাদি বলে মনে করে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বিশ্বাস করে, এরা শত্রু দেশের গোয়েন্দা সংস্থার দ্বারা পরিচালিত হয়। পাকিস্তানে এই শত্রু দেশ বলতে সাধারণত ভারতকে ইঙ্গিত করা হয়ে থাকে।’

এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক আরও বলেন, ‘আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের প্রায় সবগুলো জিহাদি সশস্ত্র দল চীনবিরোধী। মুসলিম উইঘুর সংখ্যালঘুদের উপর দমন-পীড়নের কারণে তারা চীনের বিরুদ্ধে। কিন্তু আফগানিস্তানের শাসক বা আফগান তালেবানরা চীনের ব্যাপারে বরাবরই নীরব।’

তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর থেকে চীন নিয়ে আফগান তালেবানরা কোনো কথা বলছে না। কিন্তু তালেবানের ছত্রছায়ায় কাজ করা দলগুলো এ বিষয়ে একমত নয়। তারা চীনকে মুসলিম নিপীড়ক হিসেবে দেখে থাকে। সুতরাং যদি বৃহত্তর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত কোনো কোনো ব্যক্তিবর্গ চীনাদের উপর আক্রমণ করে থাকে, তবে সশস্ত্র দলগুলো অফিসিয়ালি হামলার দায় স্বীকার করবে না। এ কারণেই হয়ত টিটিপি হামলায় জড়িত থাকার কথা বিবৃতি জারি করে অস্বীকার করেছে।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টাফটস ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক ফাহদ হুমায়ুন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, বেশামে হামলাটি টিটিপির কোনো সহযোগী সংগঠন বা আইএসকেপি করেছে। স্পষ্টতই পাকিস্তান-চীন সম্পর্ককে লক্ষ্য করে এই হামলা হয়েছে। পাকিস্তানে বিনিয়োগে বিদেশি সরকারি এবং বেসরকারি কোম্পানিগুলোর খরচ বাড়াতেই এই আক্রমণ।’

ফাহদ হুমায়ুন আরও বলেন, ‘টিটিপি হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে একটি বিবৃতি জারি করেছে। কিন্তু এটি মনে রাখা উচিত যে, আফগান তালেবানদের সঙ্গে সম্পর্কের খাতিরে তারা চীনাদের উপর হামলার কথা অস্বীকারই করবে।’

বেলুচিস্তানে চীনবিরোধী মনোভাব

একই সময়ে ফেরদৌস বলেন, ‘বেলুচ বিদ্রোহীগোষ্ঠী চীনকে একটি পরাশক্তি হিসেবে দেখে থাকে। তারা মনে করে চীন একটি সম্প্রসারণবাদী এজেন্ডা নিয়ে তাদের সম্পদ কেড়ে নিচ্ছে। গোষ্ঠীগুলো নির্বিচারে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের, বিশেষ করে চীনা নাগরিকদের উপর হামলা চালাচ্ছে।’

বেলুচিস্তানে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর ক্রমবর্ধমান কার্যকলাপের সঙ্গে সঙ্গে বিএলএর সশস্ত্র শাখার আত্মঘাতী স্কোয়াড সক্রিয় হয়ে উঠেছে। শুধুমাত্র এই বছর ২৪ জনেরও বেশি আত্মঘাতী হামলাকারী ব্যবহার করে তিনটি বড় হামলা চালিয়েছে বিএলএ। এটি বিএলএর রণকৌশল পরিবর্তনের একটি ইঙ্গিত।

ফিরদৌস বলেন, ‘তারা আগে হিট অ্যান্ড রান কৌশল ব্যবহার করে হামলা করত। এখন পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর ঘাঁটিতে তারা সরাসরি হামলা করছে। বেলুচ বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোতে যে নিয়োগের সংখ্যা বেড়েছে, তা এই প্রবণতা দেখে বুঝা যায়।’

তিনি বলেন, ‘বেলুচিস্তানের উন্নয়ন ও কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেওয়া পাকিস্তানের সরকারের জন্য এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রদেশটি যেন তার নিজস্ব সম্পদ থেকে উপকৃত হয়। স্থানীয় জনগণের জীবনকে প্রভাবিত করে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াগুলোতে স্থানীয়দের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া জরুরি।’

ফিরদৌস মনে করেন, এই সমস্যাগুলো সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বেলুচ বিদ্রোহ অব্যাহত থাকতে পারে। সমস্যাগুলো জিইয়ে রাখলে বেলুচিস্তান ও দেশের বাকি অংশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।

-আল জাজিরার প্রতিবেদন

সারাবাংলা/আইই

খাইবার পাখতুনখোয়া চীন টিটিপি তালেবান পাকিস্তান বেলুচিস্তান বেশাম


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার শাজাহান খান
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪৫

সম্পর্কিত খবর