ঢাকা: সারারাত ভ্যাপসা গরমের পর ভোরের বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি পান রাজধানীবাসী। তবে বিপাকে পড়েছেন অফিসগামীরা। বৃষ্টির মধ্যে অফিসের উদ্দেশে রওনা দিতে হয়। বৃষ্টির কারণে ভোরের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেয়ে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে।
রোববারও (৩১ মার্চ) সারাদেশে ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাতের পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহওয়া অধিদফতর। সেখানে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে সকালের বৃষ্টি অফিসগামীদের বিপদে ফেলে দিয়েছে। রমজানে সকালে অফিস থাকায় বৃষ্টিতে ভিজে বের হতে হয়েছে। বৃষ্টির কারণে পরিবহন সংকটে পড়তে হয়েছে অধিকাংশদের।
সোমবার (১ এপ্রিল) পূর্বাভাসে বলা হয়, এদিন চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
এর আগে, গতকাল শনিবার (৩০) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। ওই দিনও সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতি আগামী পাঁচ দিন শেষে পরিবর্তন আসতে পারে। তখন দিনের তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। আর আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা বলছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।