‘সরকারি কাজে সেবাগ্রহণে একই তথ্য দ্বিতীয়বার দিতে হবে না’
২ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৪৫
ঢাকা: এস্তোনিয়ার মতো বাংলাদেশেও কেউ যদি সেবাগ্রহণের জন্য সরকারকে কোনো কাজে একবার তথ্য দেন, তাহলে অন্য কোনো কাজে তাকে দ্বিতীয়বার তথ্য দিতে হবে না বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দফতরে এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগর বিভাগের প্রধান ক্রিস্টি ক্যারেলসনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
উত্তর ইউরোপীয় দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এস্তানিয়ার ই-গভর্নেন্স অ্যাকাডেমির সঙ্গে আমরা একটি পাইলট প্রকল্প শুরু করেছি। যেখানে এস্তোনিয়ার যে কৌশল, সেটা কাজে লাগানো হবে। সেখানের ১৩ লাখ মানুষ কখনো সরকারকে একটি তথ্য দিলে দ্বিতীয়বার আর দিতে হয় না।
বাল্টিক দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোট এস্তোনিয়ার প্রযুক্তি সফলতার কথা তুলে ধরে তা বাংলাদেশেও প্রয়োগ করার কথা জানিয়েছেন তিনি। উদহারণ দিয়ে জুনায়েদ আহমেদ বলেন, এস্তোনিয়ায় কেউ যদি ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য একটি তথ্য একবার দেন, এরপর কেউ যদি পাসপোর্ট করতে যান, তাহলে একই জিনিস তাকে দ্বিতীয়বার দিতে হয় না। তাদের যে প্রযুক্তিগত কাঠামো আছে, সেগুলো স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেও কাজে লাগানো সম্ভব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নাগরিককেন্দ্রিক সুবিধা দেয়াই আমাদরে উদ্দেশ্য হবে। এতে সময় খরচ কমে যাবে। পাশাপাশি দুর্নীতি ও হয়রানিমুক্ত সেবা দেয়া যাবে। এটা করতে এস্তোনিয়ার সাফল্য ও সক্ষমতা ব্যবহার করব। পাশাপাশি এস্তোনিয়ার প্রযুক্তিগত জ্ঞান অনেক আছে, কিন্তু দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ নেই। কারণ সেটা ১৩ লাখ মানুষের একটি দেশ। আর আমরা ১৭ কোটি মানুষের দেশ।
তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতি এতো বাড়ছে, আমাদের যে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহাকারী আছে, এতে তাদের স্টার্টআপ কিংবা আইটি কোম্পানির পণ্য বাংলাদেশের মার্কেটে এক্সপান্ড করতে পারে। তাদের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোও ভালো করতে পারবে।
পলক বলেন, এ ক্ষেত্রে দুদেশের মধ্যকার এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম যাতে আরও ঘন ঘন হয়, সে বিষয়ে কথা হয়েছে। দিল্লি থেকে যে রাষ্ট্রদূত এসেছেন, তিনিও আগামীতে সহযোগিতাগুলো বাড়াবেন। পাশাপাশি, বাংলাদেশ ও এস্তোনিয়ার মধ্যে আইটি সম্পৃক্ত একটি বিজনেস পোর্টাল চালু করবো। একটি সমঝোতা স্মারকও সই করা হবে। রফতানি আয় বাড়ানো ও সাইবার নিরাপত্তার বিষয় থাকবে এই সমঝোতায়।
তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী, আগামীতে এস্তোনিয়া আমাদের আইটি রফতানির কেন্দ্র হবে। পাশাপাশি তাদের বিনিয়োগও বাংলাদেশে বাড়বে।
সারাবাংলা/জেআর/এনইউ