‘যানজট কমাতে শুধু মেট্রোরেল নয়, প্রয়োজন পরিবহন ব্যবস্থাপনাও’
৩ এপ্রিল ২০২৪ ০০:১৮
ঢাকা: ২০৩৫ সালের মধ্যে ছয়টি লাইন চালু হওয়ার পরেও ঢাকা শহরের ১৭ থেকে ১৯ শতাংশ যাত্রী চলবে মেট্রোরেলে। কিন্তু তখনও ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী বাসে চলাচল করবে। একটি মেট্রোরেল তৈরি করতে প্রয়োজন ৪০ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা। সেখানে এ টাকায় ঢাকার চারপাশে গণপরিবহন ব্যবস্থা চালু করা যাবে। বাংলাদেশে এখনও বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে মটোরাইজড গাড়ি কম।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত ‘পুরোনো ঢাকার ব্যবসা-বাণিজ্যে যানজটের ও উত্তরণের উপায় চিহ্নিতকরণ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) সাবেক পরিচালক এস এম সালেহ উদ্দিন এসব কথা বলেছেন।
মেট্রোরেল তৈরির পরিকল্পনার ঘাটতি উল্লেখ করে এস এম সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘মেট্রোরেলের লাইন-৬ নির্মার্ণের সময় আরও দু’টি লাইন তৈরির কথা ছিল এসটিপিতে। কিন্তু আরএসটিপি যখন করা হয় তখন ওই দু’টি লাইন বাদ দেওয়া হয়। আমরা ডেভেলপমেন্ট ওরিয়েন্টেড ট্রানজিট করেছি। কিন্তু আমাদের হওয়া উচিত ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্ট।’
মেট্রো সিস্টেম এমন হওয়া উচিত যেখানে একটা লাইন থেকে অন্যলাইনে হেঁটেই চলে যাওয়া যাবে। সেইসঙ্গে সার্কুলার মেট্রোরেল হলে সবাই উপকৃত হবে বলেও মন্তব্য করেন এ বিশেষজ্ঞ।
নগর-পরিকল্পনার দীর্ঘ অভিজ্ঞতার বর্ণনা করে সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘সব দেশে নগর গড়ে ওঠে পরিকল্পিত। কিন্তু আমরা আগে ঘরবাড়ি, দোকানপাট, হাসপাতাল নির্মাণ করেছি- রাস্তা নির্মাণ করিনি। ফলে আমাদের সমস্যা অত্যন্ত প্রবল। স্বাস্থ্য, যানজট, দূষণ সবদিক থেকে।’
এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর পরশ বলেন, ‘কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড চালু হলে ঢাকার ভেতরের যত্রতত্র দূরপাল্লার বাস কাউন্টার সরানো হবে। কোনোভাবেই বাস কাউন্টার রাখতে দেওয়া হবে না।’
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) পরিচালক নীলিমা আক্তার বলেন, ‘পুরান ঢাকার যানবাহন ব্যবস্থার জন্যে বিশেষায়িত পরিকল্পনা প্রয়োজন।’
ঢাকার যানজট নিরসনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ভূমিকা নিচ্ছে বলে জানান সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ফুটপাত দখলমুক্ত করলে বা পুনর্বাসন করলে ফের জড়ো হয়ে যান হকারেরা। অনেকটা প্রবাহমান নদী থেকে আবর্জনা তুললে যেমন আবার সব পূর্ণ হয়ে যায়।’
ঢাকার ভেতর থেকে আন্তঃজেলা বাস সরানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের গাড়িগুলো কাঁচপুরে বাসস্ট্যান্ড নিয়ে যাওয়া হবে ৩-৪ মাসের মধ্যে। আর কেরানীগঞ্জে দক্ষিণবঙ্গের গাড়ির জন্যে বাসস্ট্যান্ডের জায়গা খোঁজা হচ্ছে। এরপর সায়দাবাদ বাসস্ট্যান্ড কেবল সিটি বাসের জন্যে ব্যবহার হবে।’
সারাবাংলা/আরএফ/পিটিএম