সোনা-রূপা বিক্রিতে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসের
৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:১৯
ঢাকা: সোনা ও রূপা এবং সোনা-রূপার অংলকার বিক্রির ক্ষেত্রে ভ্যাট হার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। একইসঙ্গ বাজেট উপলক্ষে আরও ১৪টি দাবি জানিয়েছে সোনা ব্যবসায়ীদের এই সংগঠনটি।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে বাজুস কার্যালয়ে আয়োজিত প্রাক-বাজেট (২০২৪-২৫) সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষে এসব দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায়, বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, বাজুসের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশনের চেয়ারম্যান ও কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশনের সদস্য সচিব ও কার্যনির্বাহী সদস্য পবন কুমার আগরওয়াল, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপন্টের সদস্য সচিব তাসনিম নাজ মোনা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাজুসের বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশনের চেয়ারম্যান ও কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে জুয়েলারি ব্যবসার ক্ষেত্রে সোনা, সোনার অলংকার, রূপা বা রূপার অলংকার বিক্রির ক্ষেত্রে আরোপিত ভ্যাট হার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হোক। বর্তমানে মূল্যস্ফীতি এবং ডলারের বিনিময় মূল্যের কারণে ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম (১ ভরি) সোনার অলংকার কিনতে ভ্যাট ও মজুরিসহ ১ লাখ ২৩ হাজার ৪৫০ টাকা লাগে।’
তিনি বলেন, ‘ভারতে এই খাতে ৩ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। বাংলাদেশের অলংকার শিল্পের অপার সম্ভাবনা আছে। ভ্যাট আহরণে আগামী দিনে সরকারের একটি বড় খাত হতে পারে জুয়েলারি শিল্প। এক্ষেত্রে ক্রেতাদের কাছে সহনীয় আকারে ভ্যাট নির্ধারণ করা জরুরি।’
বাজুস মনে করে, সোনার অলংকার বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ভ্যাট হার ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা দরকার। এতে সোনা খাত থেকে সরকার প্রতি বছর প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করতে পারবে।
এছাড়া দেশে বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকার সোনা চোরাচালান হয় বলে জানিয়েছে বাজুস। চোরাচালান এবং অতিরিক্ত করের জন্য প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার স্থানীয় সোনার বাজার দেশের অর্থনীতিতে যথাযথ অবদান রাখতে পারছে না বলেও মনে করে সংগঠনটি।
সোনা পরিশোধনাগার শিল্প এবং সোনার অলংকার জন্য আমদানি করা কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতিতে ১০ বছরের জন্য কর অবকাশের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও