চমেবি ভিসি পেলেন প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্বও
৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৩২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান। প্রকল্প অনুমোদনের সাত মাসের মাথায় উপাচার্যকেই অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র ডাক্তার বিদ্যুৎ বড়ুয়া সারাাবাংলাকে জানিয়েছেন, বুধবার (৩ এপ্রিল) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিনের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খানকে নিজ দায়িত্বে অতিরিক্ত হিসেবে প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করে যেতে বলা হয়েছে।
গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) এক সভায় চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণে ১ হাজার ৮৫১ কোটি ৫৯ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়।
প্রকল্প বিবরণ অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন ৮০০ শয্যার ১৫ তলা হাসপাতাল হবে। এতে চিকিৎসকদের পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট কোর্স চালুর জন্য ১০ ফ্যাকাল্টিসহ ৬৯টি চিকিৎসা বিভাগ থাকবে।
আলাদাভাবে প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন এবং ডিনস অফিস, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, ক্যাফটেরিয়া, টিএসসি, প্রার্থনা কক্ষ, কনভেনশন হল এবং টিচার্স ক্লাব নির্মাণ করা হবে। এছাড়া সংলগ্ন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতাল ভবন বিদ্যমানের চেয়ে আরও পাঁচতলা বাড়িয়ে মোট দশতলা করা হবে।
উপাচার্যের দ্বিতল বাংলো, প্রোভিসি, ট্রেজারার, ডক্টরস এবং অফিসার্স কোয়ার্টার হিসেবে একটি ১৫ তলা ভবন, একটি ছাত্রাবাস ও একটি ছাত্রীনিবাস, নার্সেস ডরমিটরি নির্মাণ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের উপ-পরিচালক বিদ্যুৎ বড়ুয়া বলেন, ‘প্রকল্প পরিচালক নিযুক্ত হওয়ায় এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন কার্যক্রম দ্রুততর হবে। প্রকল্পের মেয়াদকাল চার বছর অর্থাৎ ২০২৭ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এর মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ফৌজদারহাট বক্ষব্যাধি হাসপাতাল সংলগ্ন ২৩ দশমিক ৯২ একর জমি হাসপাতালসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য বরাদ্দ আছে। ২০১৭ সালের ১৭ মে বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খানের যোগদানের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস এবং বিএসসি অনার্স ইন নার্সিং ও বিইউএমএস (ব্যাচেলর অব ইউনানি মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারী) কোর্সের শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি হয়। এসব শিক্ষার্থীরা আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি হত।
সারাবাংলা/আরডি/এনইউ