Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাবার সঙ্গে ঈদ করতে চায় আসফিয়া

রেজাউল ইসলাম তুরান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:২৩

খুলনা: ‘অনেকদিন ধরে আব্বুকে দেখি না। আব্বুকে ভালোবাসি। আমিও বাবার হাত ধরে হাঁটতে চাই। আমার আব্বু আমার সঙ্গে ঈদ করুক। এবার যেন আমি বাবার সঙ্গে ঈদ করতে পারি।’

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে সারাবাংলাকে কথাগুলো বলছিল জিম্মি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’র সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার তৌফিকুল ইসলামের সাত বছরের মেয়ে আসফিয়া তাহসিনা।

জিম্মি মো. তৌফিকুল ইসলাম খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার ২০/১ করিমনগর এলাকার মো. ইকবাল এবং দিল আফরোজা দম্পতির ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট।

তৌফিকুল ইসলামের আরেক সন্তানের নাম আহমেদ রুসাফি (৫)।

তৌফিকুল ইসলামের মেজভাই খালেদুল ইসলাম (খালেদ) বলেন, ‘সবাই দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। সরকার এবং কোম্পানি মালিক বলছে, ঈদের আগে আমার ভাইসহ বাকি নাবিকদের ছাড়িয়ে আনবে। ঈদের আগে তারা যেন দেশে ফিরে আসতে পারে। সে জন্য উদ্যোগ নেওয়া হোক এটিই দাবি।’

তিনি বলেন, ‘গতবছর ঈদুল ফিতরের সময় তৌফিকুল আমাদের মধ্যে ছিল। আমরা পরিবারের সবাই একসঙ্গে ঈদ উদযাপন করেছিলাম। এ বছর সে অনেক বড় বিপদের মধ্যে। নাবিকরা সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক এটিই আমাদের চাওয়া।’

খালেদ আরও বলেন, ‘যেদিন জাহাজ জিম্মি করা হয়। সেদিন বিকেলে পরিবারের সঙ্গে তৌফিকুলের কথা হয়েছিল। কথার একপর্যায়ে সে বলে, সবাই আমার জন্য দোয়া করো। আমাকে ক্ষমা করে দিও। কী হবে জানি না, আর কথা হবে না হয়ত।’

গত ৭-৮ দিন আগে রাত ৯টার দিকে তৌফিকুলের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের কথা হয়েছে। সে জানিয়েছে আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। সুস্থ আছে, খাবারের সমস্যা হচ্ছে না। আমাদের চিন্তা করতে নিষেধ করেছে। কোম্পানির লোকেরা আমাদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ করছেন। তারা দ্রুতই নাবিকদের সুস্থ অবস্থায় যেভাবে হোক ফিরিয়ে নিয়ে আসবে বলে এমনটিই জানিয়েছেন।

তৌফিকুল ইসলামের স্ত্রী জোবায়দা নোমান বলেন, ‘আমাদের দাবি, সবকিছুর বিনিময়ে হলেও সে আমাদের মাঝে ফিরে আসুক। তার সহকর্মীরাও আল্লাহর রহমতে সুস্থ স্বাভাবিকভাবে ফিরে আসুক।’

তৌফিকুলের অসুস্থ মা দিল আফরোজ বলেন, ‘ছেলের সঙ্গে কয়েকদিন আগে কথা হয়েছে। বললো আম্মা আমি ভালো আছি, চিন্তা করো না। মায়ের মন, চিন্তা তো লাগেই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ তিনি যেন ঈদের আগেই জিম্মিদের ছাড়িয়ে আনেন। ছেলে ছাড়া আমাদের কোনো ঈদ আনন্দ নেই।’

গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো থেকে কয়লা নিয়ে আবার আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। জাহাজে ২৩ নাবিক রয়েছেন। যাদের সবাই বাংলাদেশি।

জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজটি চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগোষ্ঠী কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং করপোরেশনের।

সারাবাংলা/একে

জলদস্যু টপ নিউজ সোমালিয়া


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

সালমান শাহ্‌ স্মরণে মিলাদ মাহফিল
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:০৩

নাফ নদীর মোহনায় ২ শিশুর মরদেহ উদ্ধার
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৪৯

সম্পর্কিত খবর