লঞ্চ দুর্ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি
১১ এপ্রিল ২০২৪ ২০:১৪
ঢাকা: রাজধানীর সদরঘাটে এক লঞ্চের ধাক্কায় আরেক লঞ্চের পাঁচ যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
কমিটির আহ্বায়ক বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক (ক্রয় ও সংরক্ষণ) মো. রফিকুল ইসলাম। আর নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. আজগর আলী এবং বন্দর শাখার যুগ্ম পরিচালক মো. কবীর হোসেন কমিটির সদস্য। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
এর আগে, রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালে বার্দিং করার সময় তাসরিফ লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে তার আঘাতে ৫ জন নিহত হন। বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের। তারা হলেন— মো. বেল্লাল (২৫), তার স্ত্রী মুক্তা (২৫) ও তাদের সন্তান মাইশা (৩)। তাদের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়। বাকি দুজনের মধ্যে মো. রিপন হাওলাদারের (৩৮) বাড়ি পটুয়াখালী সদর ও মো. রবিউলের (১৯) বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদরে।
নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, ঢাকা থেকে ভোলাগামী তাশরিফ-৪ লঞ্চের ধাক্কায় ৫ জন যাত্রী গুরুতর আহত হন। লঞ্চটি ঘাটে বেঁধে রাখা ছিল, হঠাৎ রশি ছিঁড়ে যাত্রীদের ধাক্কা দিলে এ ঘটনা ঘটে। সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের অ্যাম্বুলেন্সযোগে আহতদের মিটফোর্ড হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়।
নৌ পুলিশ সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা থেকে ভোলার পথে রওনা দেওয়ার আগে তাসরিফ-৪ লঞ্চটি ঘাটে বেঁধে রাখা ছিল। হঠাৎ এর রশি ছিড়ে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। আরও কয়েকজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়।’
নৌ পুলিশ বলছে, সদরঘাট লঞ্চঘাটের ১১ নম্বর পন্টুনের সামনে এমভি তাসরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। এ দুটি লঞ্চের মাঝের জায়গা দিয়ে এমভি ফারহান-৬ নামের আরেকটি লঞ্চ ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় তাসরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিড়ে গেলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন
স্বাভাবিক সদরঘাট, চালু হয়েছে যাত্রী চলাচল
লঞ্চঘাটে মা-বাবার সঙ্গে প্রাণ গেল ৩ বছরের শিশুর
লঞ্চের দড়ির আঘাতে প্রাণ গেল ৫ জনের
সদরঘাট দুর্ঘটনায় ২ লঞ্চের মাস্টার-ম্যানেজারসহ আটক ৫
সারাবাংলা/জেআর/একে