খুলনায় তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন
২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৩১
খুলনা: খুলনায় তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। গরমের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে শিশুরা পুকুর কিংবা খালের পানিতে দিনের বেশিরভাগ সময় পার করছে। বৃষ্টির জন্য মানুষ হাহাকার করছে। দিনের বেশিরভাগ সময় রাস্তাঘাট থাকছে ফাঁকা। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে দিনমজুর, রিকশাওয়ালা, শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ, কৃষকরা পড়েছেন চরম বিপাকে। প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে বের হতে চাইছেন না কেউ।
এদিকে গরমজনিত কারণে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা রোদের তাপদাহে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দাবদাহের কারণে তরমুজ, বাঙ্গি, ডাব, আনারস, মাল্টা, পেয়ারাসহ পানি জাতীয় ফলের চাহিদাও বেড়েছে। ফলের মতো প্রচণ্ড গরমের কারণে শহর-গ্রাম সর্বত্রই হাতপাখার কদর বেড়েছে।
খুলনা মহানগরীর নিরালা এলাকার সালমান শেখ বলেন, ‘তীব্র দাবদাহ কোথাও এক মুহূর্ত বসে থাকা যাচ্ছে না। প্রচণ্ড গরমে কাজ-কর্ম করা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে। গরমে রাতে ঠিকমতো ঘুমানোও যাচ্ছে না।’
রিকশা চালক কামাল হোসেন বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে রিকশা চালাতি পারছি না, হাঁপায়ে উঠছি। তবুও জীবিকার তাগিদে রিকশা চালাতে হচ্ছে। কিন্তু বারবার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে।’
খুলনার রূপসা উপজেলার রূপসা ঘাটে লেবুর সরবত বিক্রি করছিলেন আকবর শেখ। তিনি বলেন, ‘তীব্র গরমে লেবুর শরবতের চাহিদা ব্যাপক। এক গ্লাস সরবত ১০ টাকায় বিক্রি করছি।’
খুলনার কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের কৃষক সালাম মোল্লা বলেন, ‘তীব্র রোদ মাথায় নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে কৃষকদের। খুব বেশি সময় মাঠে থাকা যায় না। সূর্যটা যেন গলে গলে শরীরে পড়ছে। মাঠে অল্প সময় কাজ করলে হাঁপিয়ে যাচ্ছি।’
হাতপাখা ব্যবসায়ী রহমত আলী বলেন, ‘গতবছরের তুলনায় এবছর হাতপাখার চাহিদা কয়েকগুণ বেশি। প্রকার ভেদে এক একটি হাতপাখা ৫০ থেকে ৬০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।’
খুলনা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ জানান, খুলনায় তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ খুলনার তাপমাত্রা ৪১.২ ডিগ্রি সিলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এমও