Wednesday 15 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৮ জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১১ জনের মৃত্যু


২৮ মে ২০১৮ ১১:৩৫ | আপডেট: ৫ নভেম্বর ২০১৮ ১৯:৫২

।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।   

ঢাকা: মাদকবিরোধী অভিযানে কুমিল্লা, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, ঝিনাইদহ, নাটোর, চাঁদপুর, পাবনা ও মুন্সীগঞ্জে ১১ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে সাতক্ষীরা, মুন্সীগঞ্জ ও ঝিনাইদহে নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে মারা গেছেন চারজন। বাকিরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান।

রোববার (২৮ মে) দিবাগত রাতে বন্দুকযুদ্ধের এ সব ঘটনা ঘটে। র‌্যাব ও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিহতরা চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা। তাদের নামে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলাও রয়েছে। বিস্তারিত প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে-

কুমিল্লার দেবিদ্বারে ভিংলাবাড়ি বেড়িবাঁধে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এনামুল হক দোলন নামে এক মাদক ব্যবসায়ী আহত হন। পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে ১০ কেজি গাঁজা, ১০০ পিস ইয়াবা, একটি পাইপগান উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে কুমিল্লা সদর  থানার  গলিয়ারায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নুরু মিয়া নামে আরেক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হন। পুলিশের দাবি তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে।

সাতক্ষীরার বাঁকাল এলাকা থেকে দু’জনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, নিহতরা মাদক ব্যবসায়ী। দু’পক্ষ মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলিতে তারা মারা গেছেন। সোমবার ভোরে খবর পেয়ে বাঁকাল থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের পাশেই একটি ওয়ান শুটার গান ও ১০৫ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া গেছে।

পিরোজপুরে পুলিশের সঙ্গে আলাদা বন্দুকযুদ্ধে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। রোববার মধ্যরাতে পিরোজপুর সদর উপজেলায় অহিদুজ্জামান অহিদ ও মঠবাড়িয়া উপজেলায় মো. মিজান নিহত হয়। এ ঘটনায় পুলিশের ছয় সদস্য আহত হন।

বিজ্ঞাপন

পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  জিএম আবুল কালাম আজাদ  জানান, অহিদের বিরুদ্ধে ৮টি এবং মিজানের বিরুদ্ধেও মাদক আইনে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, রোববার দিবাগত রাতে ১টার দিকে মাদকের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দু’দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। গোলাগুলির খবর পেয়ে টহল পুলিশের একটি দল সেখানে যায়। পরে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে তারা।

তিনি দাবি করেন, নিহত ব্যক্তি মাদক ব্যবসায়ী। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তলসহ বিপুল পরিমাণ মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।

নাটোরের সিংড়ায় র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আব্দুল খালেক নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড গুলি ও বেশ কিছু মাদক দ্রব্য। রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার ভাগনাগরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল খালেক সিংড়ার বড় চৌগ্রামের আজাহার আলীর ছেলে। র‌্যাব-৫ এর সিপিসি-২ কোম্পানি কমান্ডার মেজর শিবলী মোস্তফা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আবু সাঈদ বাদশা (৪৫) নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত দেড়টায় পূর্বগুপ্টি ইউনিয়নের বৈচাতরী এলকায় এ ঘটনা ঘটে। বাদশা একই উপজেলার ১০ নম্বর গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পূর্বগোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ ছৈয়ালের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় ৭টি, চাঁদপুর সদরে ২টি, চট্টগ্রামে ১টিসহ মোট ১০টি মামলা রয়েছে। ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থল থেকে ১টি বন্দুক, ৩টি ককটেল ও বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পাবনার বেড়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ইজ্জত আলী প্রামানিক (২৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে পাঁচ পুলিশ সদস্য। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় একটি দেশি শাটারগান ও বেশকিছু মাদকদ্রব্য।

পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির বিষয়টি নিশ্চিত জানান, নিহত ইজ্জত আলী অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও ডাকাত। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজী ও অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৪টি মামলা রয়েছে।

মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিম পৌরসভায় মাদকব্যবসায়ী দুটি গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে সুমন বিশ্বাস সুমন (৩৬) নামে একজন নিহত হয়েছেন। রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে পৌরসভার নৈয়াদীঘিরপাথর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুমন ওই এলাকার বাবুল বিশ্বাসের ছেলে।মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) গাজী সালাউদ্দিন নিশ্চিত করে জানান, নিহত সুমন মাদকসহ ২৫টি মামলার আসামি।

মাদক বিরোধী অভিযানের পর থেকে গত কয়েকদিনে বন্দুকযুদ্ধে সারাদেশে কমপক্ষে ৯২ জন মারা গেছে।

সারাবাংলা/টিএম/আইএ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর