Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৩ মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা বন্ধ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ০০:২৯

কাপ্তাই হ্রদে ৩ মাসের জন্য মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে বুধবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে। ফাইল ছবি

রাঙ্গামাটি: মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় তিন মাসের জন্য কাপ্তাই হ্রদে বন্ধ থাকছে মাছ শিকার। তবে হ্রদের পানির স্তর কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় উন্নীত না হলে এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও বাড়তে পারে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দিবাগত মধ্যরাত অর্থাৎ ২৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) প্রথম প্রহর থেকেই তিন মাসের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার। এই সময়টাতে রাঙ্গামাটির আট ও খাগড়াছড়ির দুই উপজেলাজুড়ে বিস্তীর্ণ কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা যাবে না। তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে আগামী ২৫ জুলাই থেকে ফের মাছ আহরণের শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জেলা প্রশাসন সূত্র বলছে, নিষেধাজ্ঞা শুরুর সময় নির্ধারিত হলেও শেষ হওয়ার সময় নির্ধারিত না। মাছের প্রাকৃতিক প্রজননের জন্য হ্রদে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি যেন থাকে, নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে সেটি নিশ্চিত করা হয়। ফলে মাছ শিকারের অনুমতির সময় নির্ভর করবে হ্রদের পানি হ্রাস-বৃদ্ধির ওপর। তিন মাসেও হ্রদে পর্যাপ্ত পানি না বাড়লে নিষেধাজ্ঞার সময় বাড়বে। অতীতেও এমনই করা হয়েছে।

প্রতি বছরই তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে কার্পজাতীয় মাছের সুষম বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় হ্রদে মাছ শিকার বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এ সময়টাতে হ্রদের মাছ বাজারজাতসহ স্থানীয় বরফকলগুলোও বন্ধ থাকে।

সাধারণত প্রতি বছরের ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস এই হ্রদে মাছ ধরা বন্ধ থাকে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হ্রদের পানি অস্বাভাবিকভাবে দ্রুত কমে যাচ্ছে। ফলে ১ মের আগেই মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে গত কয়েক বছর ধরে।

তথ্য বলছে, গত বছর তথা ২০২৩ সালে নির্ধারিত সময়ের ১২ দিন আগেই বন্ধ করা হয় মাছ শিকার। আবার তিন মাসের নিষেধাজ্ঞার পরও হ্রদের পানি পর্যাপ্ত না বাড়লে দুই দফায় আরও এক মাস ১২ দিন নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো হয়। ৪ মাস ১২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গত বছর মাছ আহরণ শুরু হয় ১ সেপ্টেম্বর।

বিজ্ঞাপন

এবারও নির্ধারিত সময় তথা ১ মে থেকে ছয় দিন আগে মাছ শিকার বন্ধ হলো কাপ্তাই হ্রদে। এখন এই বন্ধের সময়ে হ্রদে কার্পজাতীয় মাছের পোনা ছাড়বে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)।

মৎস্য অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, রাঙ্গামাটির রাজস্থলী ও কাউখালী ছাড়া বাকি আট উপজেলা ও খাগড়াছড়ির দীঘিনালা এবং মহালছড়ি উপজেলা মিলে কাপ্তাই হ্রদের ওপর নির্ভরশীল প্রায় সাড়ে ২৬ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। তিন মাস হ্রদে মাছ শিকার বন্ধ থাকার সময় এসব জেলে পরিবারগুলোকে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যশস্য সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে।

কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণনকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘বুধবার মধ্যরাত অর্থাৎ ২৫ এপ্রিল থেকে কাপ্তাই হ্রদে তিন মাসের জন্য মাছ শিকার বন্ধ থাকবে। প্রতি বছরের মতোই এই সময়ে হ্রদে কার্পজাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হবে। এ মৌসুমে আমাদের ৫৫ মেট্রিক টন পোনা অবমুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। আগামী ৪ মে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী উপস্থিত থেকে মাছের পোনা অবমুক্ত ও জেলে পরিবারের মধ্যে ভিজিএফ কার্ডের খাদ্যশস্য বিতরণ কার্যক্রম শুরু করবেন।’

সারাবাংলা/টিআর

কাপ্তাই হ্রদ টপ নিউজ মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর