Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে অস্ত্র ফেলে দেবে হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৫৬

১৯৬৭ সালে যুদ্ধের আগের মানচিত্র অনুযায়ী একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে হামাস অস্ত্র ফেলে দিয়ে একটি রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হবে। হামাসের একজন শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন। ইসরাইলের সঙ্গে পাঁচ বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য যুদ্ধবিরতিতে হামাস প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।

গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এর পর হামাস নির্মূলের প্রতিজ্ঞা করে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরাইল। ছয় মাসে এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনে ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির চেষ্টা করছে আন্তর্জাতিক মহল।

বিজ্ঞাপন

হামাস প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ইসরাইল ধ্বংস করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এবার সংগঠনটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে নিরস্ত্রীকরণের ঘোষণা দিয়েছে। এই ঘোষণাটিকে হামাসের তরফ থেকে একটি উল্লেখযোগ্য ছাড় বলে মনে করা হচ্ছে।

কিন্তু ইসরাইল হামাসের এমন ছাড়কে বিবেচনা করবে এমন সম্ভাবনা কম। হামাসকে চূড়ান্তভাবে নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গাজা উপত্যকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরাইল। কোনো প্রকারের যুদ্ধবিরতির প্রতিও আগ্রহ দেখাচ্ছে না ইসরাইল। এছাড়া ইসরাইলের বর্তমান নেতৃত্ব ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে ইসরাইলের দখলকৃত ভূখণ্ড ছাড়তে রাজি নয়। তারা ১৯৬৭ সালের মানচিত্র মেনে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের বিরোধী।

হামাসের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হলেন আল-হাইয়া। তিনি যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি বিনিময়ের জন্য আলোচনায় হামাসের প্রতিনিধিত্ব করছেন।

বিজ্ঞাপন

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, হামাস গাজা এবং পশ্চিম তীরের জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ সরকার গঠনের পক্ষে। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ফাতাহ উপদলের নেতৃত্বে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনেও (পিএলএ) যোগ দিতে রাজি হামাস।

তিনি বলেন, হামাস পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকায় একটি সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক রেজুলেশন অনুযায়ী ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনে ইসরাইলের ১৯৬৭ পূর্ববর্তী সীমান্তে মেনে নেবে। যদি তা ঘটে- তাহলে হামাসের সামরিক শাখা বিলুপ্ত করা হবে।

ইসরাইল এখন রাফা শহরে একটি স্থল অভিযানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। রাফায় ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। ইসরাইল মনে করে, হামাসকে চূড়ান্তভাবে নির্মূল করতে রাফায় স্থল অভিযান জরুরি। তবে রাফায় স্থল অভিযান চালালে ভয়ংকর মানবিক সংকট তৈরি হবে বলে ইসরাইলকে সতর্ক করেছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহল।

ইসরাইল বলেছে, যুদ্ধ শুরুর পর হামাসের প্রাথমিক দুই ডজন ব্যাটালিয়নের বেশিরভাগ ধ্বংস করা হয়েছে। কিন্তু সর্বশেষ চারটি ব্যাটালিয়ান রাফাতে আছে। ইসরাইলের যুক্তি, হামাসের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জনের জন্য রাফায় আক্রমণ প্রয়োজন।

আল-হাইয়া এ ব্যাপারে বলেন, এ ধরনের আক্রমণ হামাসকে ধ্বংস করতে সফল হবে না। গাজার বাইরে রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং অভ্যন্তরে সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে যোগাযোগ যুদ্ধের মধ্যেও নিরবচ্ছিন্ন। এবং দুটি গ্রুপের মধ্যে পরিচিতি, সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা আলোচনার মাধ্যমে করা হয়।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরাইলি বাহিনী লোকবল বা মাঠ পর্যায়ে হামাসের মাত্র ২০ শতাংশ সক্ষমতা ধ্বংস করেছে। তারা যদি হামাস নির্মূল করতে না পারে, তাহলে সমাধান কী? সমাধান হলো ঐকমত্যের দিকে যাওয়া।

সারাবাংলা/আইই

ইসরাইল টপ নিউজ ফিলিস্তিন হামাস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর