‘সীমান্ত হত্যা ভারতের বাংলাদেশ বিরোধী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ’
২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১০:৩১
ঢাকা: লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ আবুল কালাম নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত বেশ কিছুকাল ধরে সীমান্তে বিএসএফ পোকামাকড়ের মতো বাংলাদেশিদের হত্যা করছে। এটা বাংলাদেশকে দেওয়া বিএসএফের ওয়াদার বরখেলাপ। গত ৯ মার্চ ঢাকায় বিএসএফ প্রধান আবারও সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করার ঘোষণা করেন। কিন্তু সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা তারা বন্ধ করেনি। প্রায় প্রতি সপ্তাহে তারা বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা করছে। এটা বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়। ভারতের এসব তৎপরতা কোনো সৎ প্রতিবেশীর পরিচয় নয়; বরং তাদের বাংলাদেশ বিরোধী আগ্রাসী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, কেবল ২০২৩ সালে বিএসএফের হাতে ৩০ জনের বেশি বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আর গত সাত বছরে বিএসএফের গুলি ও অত্যাচারে প্রাণ হারিয়েছেন দুই শতাধিক বাংলাদেশি। আহত হয়েছেন অনেকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সীমান্তে লেনদেনে সমস্যা হলেই বিএসএফ মারমুখী হয়ে উঠে এবং গুলি চালিয়ে বাংলাদেশিদের প্রাণনাশ করে।
সাইফুল হক বলেন, বাংলাদেশের সরকারগুলোর ভারত-তোষণ নীতি, বিশেষ করে গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের ভারত অনুগত পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্ত হত্যা বন্ধ, পানির ন্যায্য অংশীদারিত্ব, বাণিজ্যিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠাসহ ভারতে বাংলাদেশ-বিরোধী বহুমুখী অপতৎপরতা বন্ধ করানো যায়নি।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার সীমান্তে নিরীহ ও নিরস্ত্র বাংলাদেশিদের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড বন্ধ দূরের কথা, এর উপযুক্ত প্রতিবাদ করার ক্ষমতা পর্যন্ত হারিয়ে ফেলেছে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/আইই