Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ধর্ষণ ঘটনায় উদ্বিগ্ন পুলিশ, হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক


২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ১০:৫১

মো. শামীম রিজভী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বনানী এলাকার বিভিন্ন হোটেলে তরুণী ধর্ষণের কয়েকটি ঘটনায় নড়ে-চড়ে বসেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায়, মঙ্গলবার বিকেলে উপ-পুলিশ কমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে বিশেষ বৈঠক করে পুলিশ ও হোটেল মালিকরা।

বৈঠকে গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার, গুলশান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার, বনানী থানার ইন্সপেক্টরসহ (তদন্ত) পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ বৈঠকে বনানীর ৫০ টিরও বেশি আবাসিক হোটেল কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠানো হয়।

এ বৈঠকের মূল আলোচনার বিষয়ই ছিল আবাসিক হোটেলগুলোতে  ধর্ষণের ঘটনা। এ জন্য বিবাহিত দম্পতি ছাড়া হোটেল কক্ষ ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি নির্দেশনা দিয়েছে ডিসি কার্যালয় থেকে। পাশাপাশি অবিবাহিত কেউ কক্ষ ভাড়া করলে তাদের মধ্যে সম্পর্ক কী? তা জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে নিশ্চিত হতে বলা হয়েছে। যেকোনো হোটেল কক্ষ ভাড়া নেওয়ার আগে অবশ্যই তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্যও জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যমূলকভাবে দেখাতে হবে। এ ছাড়াও প্রতিটি হোটেলে বাধ্যতামূলকভাবে সিসি টিভি ক্যামেরা লাগিয়ে সকলের গতিবিধি লক্ষ্য রাখতে হবে।

হোটেলগুলোতে ধর্ষণের মতো বেশকিছু অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য বনানী এলাকার ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ায় পুলিশের পক্ষ থেকে এ সকল নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বনানী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুল মতিন গত সপ্তাহের বনানীর ধর্ষণ ঘটনা সম্পর্কে মঙ্গলবার বিকেলে সারাবাংলাকে বলেন, ‘যেহেতু মামলা হয়েছে সে কারণে আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর আছে। ওই তরুণীর ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও পাঠানো হয়েছে। সেখানকার রিপোর্ট এখনো হাতে পাইনি।’

পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন ২০ নভেম্বর মাঝ রাতে অভিযুক্ত কুশান ও মামলার বাদি তরুণীর মধ্যে অনেক ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতিহাতি হলে হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ তাদের দুজনকে থানায় নিয়ে আসে। কিন্তু সকালের দিকে বাদি ও বিবাদির পক্ষের স্বজনরা এসে ব্যাপারটি মিটিয়ে ফেলে। কিন্তু পরে বিবাদির পরিবার তাদের কথা না রাখলে ওই তরুণী বাদি হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শিউলী আক্তার সারাবাংলাকে বলেন, ‘একাধিকবার কুশানের বাড়িতে অভিযান চালানো হলেও সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। আমরা আমাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছি। বাদি তরুণীকেও আমরা ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) সেন্টারে পাঠিয়েছি। কিন্তু ওই পরীক্ষার ফলাফল এখনো হাতে আসেনি। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ সব তথ্য ক্ষতিয়ে দেখছে।’

এর আগে, ধর্ষণের অভিযোগে গত ১৩ ডিসেম্বর কুশান ওমর সুফির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বনানী থানায় মামলা করেন এক তরুণী।

সারাবাংলা/এসআর/জেডএফ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর