শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় এ জে মোহাম্মদ আলীকে চিরবিদায়
৪ মে ২০২৪ ২১:৩৫
ঢাকা: সাড়ে চার দশকের পথচলার পর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সহকর্মীদের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় চিরবিদায় নিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী। জানাজা শেষে তাকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে বিদায় জানিয়েছেন তার দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা।
শনিবার (৪ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন সুপ্রিম কোর্ট বার মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মো. আবু জাফর।
জানাজা নামাজে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আপিল বিভাগের বিচারপতি, হাইকোর্টের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, বার সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক, সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, শ. ম রেজাউল করিম, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতিবৃন্দ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামালসহ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিবর্গ এবং মরহুমের আত্মীয় অংশগ্রহণ করেন।
জানাজা শুরুর আগে প্রয়াত এ জে মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও মেয়ে তার বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চান।
জানাজার আগে এ জে মোহাম্মদ আলীর স্মৃতিচারণ করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, এ জে মোহাম্মদ আলীর ছেলে রিয়াজ হোসেন খোন্দকার, মেয়ে রাদিয়া খোন্দকার। তার জীবনী পাঠ করে শোনান সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জরুল হক।
জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে এ জে মোহাম্মদ আলীকে দাফন করা হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যায় সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর মরদেহ ঢাকায় আনা হয়।
গত বৃহস্পতিবার (২ মে) মারা যান এ জে মোহাম্মদ আলী। সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে দেশটির মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের দ্বাদশ অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বাবা এম এইচ খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীরও সদস্য ছিলেন।
১৯৮০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তিনি আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। এরপর ২০০১ সালের ২৩ অক্টোবর তিনি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হন। পরে ২০০৫ সালের ৩০ এপ্রিল অ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হন। ২০০৭ সালের ২৪ জানুয়ারি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন।
এ ছাড়া তিনি সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটিরও দায়িত্ব পালন করেছেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে