‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিপিং সেক্টর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে’
৫ মে ২০২৪ ১৮:১৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে শিপিং সেক্টর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বলে উল্লেখ করেছেন নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
রোববার (৫ মে) সকালে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রামের বিশেষ ব্যাচ-২০২৩ এর শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিপিং সেক্টরে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মিত হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শিগগিরই শুরু হবে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থায় (আইএমও) ‘সি’ ক্যাটাগরির সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। পায়রা বন্দর নির্মিত হচ্ছে। মোংলা বন্দর, চট্টগ্রাম বন্দরের আপগ্রেডেশন হচ্ছে।’
“বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ছয়টি জাহাজ সংগ্রহ করেছে। আরও জাহাজ সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। বাংলাদেশে একটি মাত্র মেরিন একাডেমি ছিল। শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে চারটি নতুন মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আরও তিনটি মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে। বিশ্বের অন্যতম মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়’ শেখ হাসিনার সরকারের সময় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে,”— বলেন প্রতিমন্ত্রী খালিদ।
দক্ষ নাবিক তৈরিতে নেওয়া পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণের গুণগতমান আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মেরিটাইম সেফটি এজেন্সির স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। চট্টগ্রামের ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের পর মাদারীপুরে একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী ও মেহেরপুর ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হচ্ছে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ডিজিটালাইজেশনের কারণে বিশ্ব নৌ বহর দ্রুতগতিতে উন্নত থেকে উন্নতর হচ্ছে। আমাদেরও জাহাজি অফিসার এবং নাবিকদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। আমাদের ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থার এসটিসিডব্লিউ কনভেনশন যথাযথভাবে অনুসরণ করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে আসছে।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘দিনবদলের পালায় বর্তমান সরকারের ভিশন-২০৪১ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দেশের সব সেক্টর একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল (ডেভেলপিং) দেশে পরিণত হয়েছে। এখন উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে চলছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট দেশে পরিণত হবে। আর এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে দেশের শিপিং সেক্টর।’
এবারের বিশেষ ব্যাচে ১৭৭ জন প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৮৮ জন ডেক, ৭৯ জন ইঞ্জিন ক্যাডেট এবং ১০ জন স্টুয়ার্ড। প্রতিমন্ত্রী প্রশিক্ষণার্থীদের মার্চপাস্ট পরিদর্শন করেন। এরপর শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তোমরা দেশপ্রেমকে বুকে ধারণ করে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে তোমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে, যেন আমাদের দেশের ভাবমূর্তি সমুজ্জ্বল থাকে। তোমরা দেশের অ্যাম্বেসেডর হিসেবে কাজ করবে।’
অনুষ্ঠানে নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল, নৌ পরিবহণ অধিদফতরের চিফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রামের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন আতাউর রহমান বক্তব্য রাখেন।
সারাবাংলা/আরডি/টিআর
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী মেরিটাইম ইনস্টিটিউট