গাছকাটা বিষয়ে নীতিমালা তৈরি করতে রুল
৬ মে ২০২৪ ১৭:৫২
ঢাকা: গাছ রোপণ ও কাটার ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব নীতিমালা তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে এ সম্পর্কিত নীতিমালা তৈরি না করা এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার (৬ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
এর আগে, ২ মে আইনজীবী তানভীর আহমেদ সারা দেশে তাপপ্রবাহ কমাতে এবং গাছ কাটা ও লাগানোর বিষয়ে পরিবেশবান্ধব আইন, বিধিমালা বা নীতি প্রণয়নের জন্য অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আইনি নোটিশ পাঠান।
পরিবেশসচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক, আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক ও কুষ্টিয়ার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বরাবর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ওই নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশ পাঠানোর পর ওই আইনজীবী জানান, দেশের ভৌগোলিক সীমানার ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। অথচ আছে মাত্র নয় শতাংশ। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ কমানোর জন্য এখনো দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। ফিনল্যান্ডের আবহাওয়া সবচেয়ে ভালো। দেশটিতে একটি গাছ কাটলে বাধ্যতামূলক তিনটি গাছ লাগাতে হয়।
তিনি আরও জানান, ২০২৩ সালে কুষ্টিয়ার যদুবয়রা থেকে সান্দিয়ারা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কের প্রায় ১০ হাজার গাছ কাটা হয়েছে। কিন্তু সেখানে কোনো গাছ লাগানো হয়নি। দেশে গাছ কাটা ও লাগানোর বিষয়ে পরিবেশবান্ধব কোনো আইন, বিধি বা নীতিমালা নেই। এ কারণে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম